প্রদীপ কুমার সিংহ:- আরজিকর হাসপাতাল কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেয়। সেই অভিযানকে ঘিরে ছাত্রদের উপর লাঠিচালায় বলে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করে। সেই অভিযোগ কে কেন্দ্র করে বিজেপির পক্ষ থেকে বুধবার ১২ ঘন্টা বাংলা বন্ধের ডাক দেয়। সেই ব্ন্ধ কে ঘিরে পশ্চিমবাংলা বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন অশান্তির খবর পাওয়া যায়।বিজেপির পক্ষ থেকে বারুইপুরে সকাল ৭, ৩০ টার সময় রাস্তা অবরোধ করে ১০ মিনিটের জন্যবারুইপুর হাসপাতালের আগে উড়াল পুলের কাছে । বারুইপুর থানা পুলিশ এসে যাওয়ায় বিজেপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে স্কুলের বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে।পথ অবরোধ তুলে নেয়।
সেখান থেকে বারুইপুর স্টেশনের যায় বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে। সেখানে যাওয়ার পর ট্রেন বন্ধ করার জন্য বারুইপুর লোকাল ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য উত্তম কর, বারুইপুর বিজেপি এক নম্বর শহর মণ্ডলের সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী সহ বেশ কিছু বিজেপি কর্মী। প্রায় ১৫ মিনিট ট্রেনের সামনে অবরোধ করে।তারপর দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাণী ও মৎস্য দপ্তরের কর্মদক্ষ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা জয়ন্ত ভদ্রের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির কর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য উত্তম করের সঙ্গে জয়ন্ত ভদ্র বাঘ বিতান্ডা হয় শেষে আরপিএফ এর সহযোগিতা তাদেরকে সরিয়ে দেয়। ট্রেন চলাচল শুরু করে বাড়িইপুর লোকাল। লক্ষীকান্তপুর,নামখানা আপ এবং ডাউন ট্রেন দুটো বন্ধ ছিল। কারণ ডায়মন্ড হারবার লাইনে উত্তর রাধানগর এ বিজেপি কর্মীরা ট্রেন অবরোধ করে এবং দক্ষিণ বারাসাত থেকে জয়নগরের মধ্যে বিজেপি কর্মীরা রেল অবরোধ করে। তার জন্য শিয়ালদা থেকে কোন ডাউন ট্রেন ছাড়েনি। পরে টাওয়ার ভ্যান গিয়ে চেকআপ করার পর ১১:৩০ টা থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। যদিও বারুইপুর লোকাল ইরেগুলার যাতায়াত করে।
বারুইপুরে তৃণমূলে পক্ষ থেকে বারুইপুর পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান গৌতম দাসের নেতৃত্বে বন্ধ বিরোধী একটি মিছিল হয় সকাল আটটার সময়। মিছিল এই পদ্মপুর থেকে বারুইপুর পুরাতন বাজার পর্যন্ত আসে। বারুইপুর স্টেশনেও গৌতম দাস জয়ন্ত ভদ্রের নেতৃত্বে একটি বড় মিছিল বেরোয়। বহু তৃণমূল কর্মী এতে অঞ্চল করেছিল। বারুইপুর এক নম্বর, দু নম্বর ও চার নম্বর প্লাটফর্ম সেই সঙ্গে স্টেশন চত্বরে ঘুরে সেটি বারুইপুর রেল ময়দানে গিয়ে শেষ হয়।