কৃষ্ণা অষ্টমীতে বিল্ল বৃক্ষের মায়ের বোধন। সপ্তমিতে হয় সাত ভাজা। মাকে নবমীতে ভোগে দেওয়া হয় বাড়ির পুকুরের মাছ। অষ্টমী নবমীর সন্ধিক্ষণে বলি দেওয়া হয় চাল কুমড়া ,আখ ও আদা। পূর্ব মেদিনীপুরের
রামনগরে প্রাক্তন বিধায়ক বাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও ঐতিহ্যের সুর।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক অবন্তিকুমার মিশ্রের বাড়ির দুর্গাপুজোকে ঘিরে মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা এখনো তুঙ্গে। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন, পূজোর প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। প্রাক্তন বিধায়ক অবন্তিকুমার মিশ্রের পুত্র বিশ্ব রঞ্জন মিশ্র সেই পুজো চালিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
রামনগরে উপকূলবর্তী এলাকায় অনেক বনেদি বাড়ি পুজো হয়। মিশ্র বাড়ি দুর্গা পুজোকে ঘিরে রামনগরবাসীর আবেগ উন্মাদনা আজও অক্ষুন্ন।
মিশ্র বাড়ির দুর্গাপুজোয় মাকে ভোগে দেওয়া হয় মাছ। ব্রাহ্মণবাড়ীর রীতি নিয়ম মেনেই হয় পূজো। প্রতিবছর এক চালায় প্রতিমা হয়। প্রাক্তন বিধায়কের বাড়ির পুজোর উদ্বোধনে আসেন বর্তমান বিধায়ক অখিল গিরি। প্রাক্তন বিধায়ক অবন্তী কুমার মিশ্রের পুত্র বিশ্বরঞ্জন মিশ্র শোনালেন সেই পুজোর ইতিকথা।
এই দুর্গাপুজোর চার দিন পরিবারের সদস্যরা আনন্দে যেমন মেতে ওঠেন ঠিক তেমনিভাবে রামনগর এলাকার বহু মানুষ এই পুজো দেখতে আসেন। এই পূজার আনন্দে মেতে ওঠেন পরিবারের প্রবীণ সদস্য সদস্য থেকে কচিকাঁচারাও।
বিশ্বরঞ্জন মিশ্রের পুত্র বিভাস রঞ্জন মিশ্র জানান দাদুর শুরু করা পূজো আমরা বংশপরম্পরায় এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বাড়ির কুল পুরোহিত দিননাথ পানিগ্রাহী বলেন ঐতিহ্য ও রীতি মেনে প্রতিবছর মিশ্র বাড়ির পুজো হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। মহালয়া থেকেই এই পুজোর আবাহনী শুরু হয়। মিশ্র বাড়ির পুজোয় সপ্তমীতে সাতফলের ভোগ ও মাছের ভোগের রীতি প্রচলিত আছে আজও। রামনগর এলাকার মানুষজন প্রতিবছর অপেক্ষায় থাকেন মিশ্র বাড়ির দূর্গা পুজো দেখার জন্য। ঠাকুরদালানে শুরু হয়েছে প্রতিমা গড়ার কাজ। একচালার প্রতিমায় প্রতিবছর মা পূজিতা হন।