প্রয়াত হলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেড়থান গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান বিজন বিহারি সাউ সোমবার সকাল ১০.৫৫ মিনিট নাগাদ এগরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৭২ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জানা গিয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। প্রায় বারো দিন তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অবশেষে বিজনবাবু শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুতে গভীর শোকাহত গোটা এগরা এলাকার বাসিন্দারা। এদিন এগরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে কুদিতে বিডিও অফিসের সামনে নীরাবতা পালনের মধ্য দিয়েই ও পুস্পার্ঘ্য নিবেদন করে বিজনবাবুকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার আলংগিরি গ্রামের বাসিন্দা বিজন বিহারি সাউ। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিজন বিহারি সাউ। বরাবরই বিজনবাবু ডানপন্থী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কখোনো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ-প্রধান, আবার কখনো পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, কর্মাধ্যক্ষ। কখনো বিরোধী দলনেতা। আবার জেলা পরিষদের সদস্যও ছিলেন তিনি। তিনি ভোটে লড়ে কখোনোই পরাজিত হননি।
বিজনবাবুর সতীর্থ তথা বর্তমান এগরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমিয় রাজ বলছেন, যে আমরা একইসঙ্গে রাজনীতি করেছি। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্ব সামলেছি। কিন্তু বিজনবাবুর মৃত্যুটা মন থেকে মেনে নিতে পারছি না। তবে এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি গভীরভাবে মর্মাহত হয়ে বলেন, খুবই দু:খজনক ঘটনা। আমরা একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিকে হারালাম।। আমরা তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। পাশাপাশি তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই। এদিন এগরা ১ ব্লকের সামনে প্রত্যেকে কান্নায় ভেঙে পড়ে। শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন এগরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সত্য চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সদস্য শান্তনু নায়ক, দলের জেলা সহ-সভাপতি সিদ্ধেশ্বর বেরা, জেড়থান অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শান্তনু মাইতি, যুব নেতা বিশ্বজিৎ বেরা, সুমন দাস, শেখ মুক্তাজল প্রমুখ।