Select Language

[gtranslate]
২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রবিবার ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পশ্চিম বামুনিয়া সমৃদ্ধি ফাউন্ডেশন উদ্যোগে বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী প্রদান

পশ্চিম বামুনিয়া সমৃদ্ধি ফাউন্ডেশন প্রতি বছরের মতো এবছরও তাঁদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা দিবসে এক  কর্মসূচীর মাধ্যমে মরনোত্তর দেহদান এবং দুস্থ কন্যাসন্তান দের নতুন বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী প্রদান করে তাঁদের মুখে এক অনাবিল আনন্দের হাসি ফুটিয়ে তোলেন।এই সভায়  স্থায়ী সভাপতি সুদীপ্ত মন্ডল সভাপতিত্ব  করেন।গান্ধী প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে এই কর্মসূচীর  সূচনা হয়। জেলার বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং এই সেবা প্রতিষ্ঠানের ভূমিদাতা  সঞ্জিত রঞ্জন দাস   এই কর্মসূচীতে প্রথম দেহ দান করেন।২৭ জন দেহদানের অঙ্গীকার পত্রে উইল করেন ।ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সমাপ্তি ভাষণে সংগঠনের সভাপতি তথা  সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন সমাজ জীবনে মানুষের কল্যাণের জন্য মরদেহ উৎসর্গ করে যাওয়ার এই যে প্রেরণা,এটা লক্ষ্য করার পর মনে হয় সমাজে যাঁরা শীর্ষে রয়েছেন তাঁদের ভাবনার সময় এসেছে ,কিভাবে এই সব মহাপ্রাণদাতাদের শেষ ইচ্ছা গুলোকে সার্থক করা যায়।মানুষ আজ ক্রমেই এ বিশ্বাসে পৌঁছেছে যে মৃত্যুতেই জীব দেহের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটে।  পশ্চিম বামুনিয়া সমৃদ্ধি ফাউন্ডেশন দেশপ্রাণ ব্লকের অযোধ্যা পুর সংলগ্ন ১০টি গ্রামের ৫ থেকে১৫ বছর বয়সী প্রায় ১০০ জন কন্যা সন্তানকে মহালয়ার পূন্যলগ্নে নতুন বস্ত্র দিয়ে সেবা প্রদান করল। দুপুর২:৩০ এ মডার্ন পাবলিক একাডেমী , সটিকেশ্বর এ এক মনোরম পরিবেশে কর্মসূচী রূপায়ণ হয়।সঙ্গে সকল সদস্য সদস্যা কে  নিয়ে আগামী তিন বছরের জন্য নতুন কমিটি গঠিত হয়।সংস্হার কোষাধক্ষ্য সৌরভ হাজরা বলেন প্রতি বছরই আমাদের এই অরাজনৈতিক সংগঠন  প্রতিষ্ঠা দিবসে এমন নতুন নতুন সেবামূলক কর্মসূচী গ্রহণ করে থাকেন,উনি এই কর্মকান্ডে যিনারা আর্থিক ও মানবিক সহযোগীতা করেছেন পাশে থাকার জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিভিন্ন সমাজসেবী মানুষজন।নারী-পুরুষ,শিশু -বৃদ্ধ প্রত্যেকেই পশ্চিম বামুনিয়া সমৃদ্ধি ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেন।

এই প্রতিষ্ঠানের  সম্পাদক  সুমিত দাস বলেন-জীবনের সব কিছুই যখন পুনর্ব্যবহারযোগ্য তখন মৃত ব্যক্তির প্রত্যঙ্গ ও কলা নয় কেন? যতদিন দেহে প্রাণ থাকবে ততদিন তিনি পশ্চিম বামুনিয়া সমৃদ্ধি ফাউন্ডেশনের হয়ে মানুষের স্বার্থে মানবসেবা কর্মে লিপ্ত থাকবেন।আমাদের প্রচেষ্টা হবে দান না করার মানসিকতাকে বদলানো, স্বতস্ফূর্ত ভাবে মৃত ব্যক্তির প্রত্যঙ্গ দানকে রেওয়াজে পরিণত করা।বিশিষ্ট সমাজসেবী  মৌমিতা দাস  নিজে এবং স্বামীর দেহ উইল করে জানান তাঁদের আত্মীয়-স্বজন ও মৃত ব্যক্তির জীবদ্দশায় উইল করা উইলকে তিনি সম্মান করতে কখনও দ্বিধা করবেন না। উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী চন্দন দাস নিজে দেহদান করে বলেন ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়, আগামী দিনেও তিনি ফাউন্ডেশন-র পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে দেহদান কর্মসূচি রূপায়ণ করতে আসেন টিম উদীয়মান এর সভাপতি প্রশান্ত সিং ও অন্যান্যরা। আগামী দিনেও যাতে এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকে তিনি সেই কামনা করে সর্বদা ফাউন্ডেশনের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন  এবং রূপ প্রদান করেন সংস্হার সদস্যা তথা পরামর্শদাতা সুমিতা জানা ও অমৃতা নায়ক। দেশপ্রাণ এডুকেশন ফোরামের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কনভেনর দিপু খান,যুগ্ম সম্পাদক বিপ্লব মান্না, সদস্য সন্তু বেরা।মডার্ন পাবলিক একাডেমির সহ সম্পাদক আবদুল সাত্তার।সমগ্র অনুষ্ঠান রূপায়ণে সাহায্য করার জন্য ফাউন্ডেশনের সকল সদস্য তাঁদের ধন্যবাদ জানান।সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংস্হার দুই  সদস্যা রূপালী মাইতি ও অনুশ্রী মণ্ডল। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ড: সৌমিক কর, সরদা অঞ্চল প্রধান ভবানী কর, উপ প্রধান সমীর পাণ্ডব, পঞ্চায়েত সদস্যা বানী পাহাড়ী, বিশিষ্ট সমাজসেবী সুরজিৎ পাহাড়ী অন্যান্যরা।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read