পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম বিগ বাজেটের পুজো কমিটি কাঁথির নান্দনিক ক্লাবে পূজা মন্ডপ উদ্বোধন করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল ছাড়াও ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিশির অধিকারী, প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, কাঁথির বর্তমান সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী, বিধায়ক অরূপ কুমার দাস, সুমিতা সিনহা,শান্তনু প্রামানিক,রবীন্দ্রনাথ মাইতি সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জন।
স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। ক্লাবের ম্যাগাজিনের উদ্বোধন ও মঙ্গলদীপ প্রজনন এবং পুজো মণ্ডপের ফিতে কেটে দ্বারোদঘাটন করেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল বললেন, আমি বাংলা ভালবাসি। আপনাদের সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা। আসুন মা দুর্গার চরণ তোলে নিজেরদের সমর্পণ করি।এটা আত্ম উপলব্ধির সময়। এই সময় মা দুর্গার শরণাপন্ন হওয়ার সময়। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন জন্য। বিপদে পড়লে মহাদেবের কাছে পরিত্রাণ চাইবো। জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করেন। তিনি আরো বলেন, আসুন মা কে স্বাক্ষী রেখে শপথ গ্রহণ করি যে,ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। ভ্রষ্টাচার হলো রক্তবীজ আর হিংসা হলো নরকাসুর। দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে ও মা কালী নরকাসুরকে যে ভাবে বধ করেছিলেন আমরা ও সেই ভাবে ভ্রষ্টাচারকে বধ করবো। নান্দনিকের সাংস্কৃতিক মঞ্চকে অভয়া মঞ্চ নামকরণ করা হয়েছে। সেই অভয়া মঞ্চে স্বাগত ভাষণ রাখেন প্রাক্তন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি সমগ্র জেলা এবং কাঁথির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরেন। পাশাপাশি রাজ্যপালের প্রশংসাও করেন।
কাঁথির প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী বলেন এই পবিত্র মাটিতে মহাত্মা গান্ধী,নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব এসেছেন । মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আর জি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং অভয়ার বিচারের দাবি জানান।
ওই ক্লাবের অন্যতম কর্ণধার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা কাঁথি লোকসভার সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারী। এবার নান্দনিক ক্লাবের থিম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাসস্থান গুজরাটের নাগেশ্বর মন্দিরের আদলে পূজা প্যাণ্ডল নির্মাণ হয়েছে। নিখুঁত কারিগরি দক্ষতায় পূজা মণ্ডপ নির্মাণ করেছেন জানা টেন্ড যার কর্ণধার চন্দন জানা এই এই মন্ডপের পরিকল্পনা করেছেন কাঁথির বিখ্যাত শিল্পী সুতন মাইতি। তিনি তার নিপুন দৃষ্টিকোণ দিয়ে এই শিবালয় মন্দিরকে পরিকল্পনা করেছেন। এবার পুজোর বাজে ৭৫ লক্ষ টাকা। এদিন ক্লাব প্রাঙ্গণ থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক দুস্থদের বস্ত্র বিতরণ করা হয়।