প্রদীপ কুমার সিংহ পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির পরিচালনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা দলিল লেখা সমিতির উদ্যোগে সোনারপুর দলিল লেখক সমিতির সহযোগিতায় একটি সম্মেলন অনুষ্ঠান করে সোনারপুরের রেলওয়ে ওয়াটার পার্কের পাশে কমিউনিটি হলে শনিবার সকালে । সম্মেলন উপস্থিত পশ্চিমবাংলা দলিল লেখক সমিতির রাজ্য কমিটির সভাপতি গোলাম কুদ্দুস মহাশয়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার দলিল লেখক সমিতির সম্পাদক সুজাউদ্দিন বৈধ্য সহ পশ্চিমবাংলার মালদা, মুর্শিদাবাদ,হুগলী,উত্তর ২৪ পরগনা বিভিন্ন জেলার দলিল লেখক সমিতির সংস্থার সম্পাদক ও সদস্য মন্ডলীগন। ২৫০ থেকে ৩০০ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দলিল লেখা সমিতির সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের অনেক সমস্যা আছে, সেই সমস্যা গুলি দাবি আকারের রাজ্য দলিল লেখক সমিতির সম্পাদক সভাপতিকে জানায়। যেমন প্রত্যেক দলিল লেখককে আইডেন্টিটি কার্ড দিতে হবে, প্রত্যেক দলিল লেখকের জন্য বাথরুম, ইলেকট্রিক প্রভৃতি জিনিসে ব্যবস্থা করতে হবে। দলিল লেখার জাল অনেক বেরোচ্ছে সেই গুলি কি ধরে ব্যবস্থা করতে হবেসরকারের কাছে। তবে শোনা যাচ্ছে দলিল লিখতে গেলে যেসব স্ট্যাম্প পেপার ও দামি পেপার দিয়ে দলিল তো তা নাকি উঠে যাবে তার প্রতিবাদ পায় জানায়। অনেক দালাল দলিল লেখক জমির মূল্য অনুযায়ী স্ট্যাম্প পেপার ব্যবহার করে না। সেগুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সরকারি আধিকারিক দিয়ে ঘুষ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে ইত্যাদি।
পশ্চিম বাংলার রাজ্য দলিল লেখা কমিটির সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন প্রতিটি জেলার দলিল লেখার সমিতি এক হয়ে আন্দোলন করতে হবে। আলাদাভাবে কেউ আন্দোলন করতে পারবে না। এই আন্দোলনে কোন রাজনীতির রং লাগবে না। অনেক আন্দোলন করে তারপর দলিল লেখক দের আইডেন্টিটি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকার থেকে। তাতে সরকারি লোগো আছে। সরকার এখন যে প্রস্তাবটি দিয়েছে দলিল লেখকদের আধার কার্ড প্যান কার্ড ইমেইল নাম্বার দিতে হবে। সেই অনুযায়ী দলিল গুলো সার্চ করা হবে। এই প্রস্তাবের রাজ্য দলিল লেখা কমিটি কোথা থেকে তা খারিজ করে দেয়া হয়। বা এখনো তারা ভেবে দেখছে এই ব্যাপারে। যদিও এই কার্ড বা ইমেইলের
শেস তারিখ ২৮ অক্টোবর । কোন দলিল লেখকের কোন সমস্যা এলে তারা যেন সঙ্গে সঙ্গে জেলা স্তরে তা জানায়। প্রত্যেকটি জেলায় আলাদা আলাদা ভাবে মিটিং করা হবে।