রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের ঘনিষ্ঠকে বেআইনী ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে দেশপ্রাণ কলেজে বিক্ষোভ দেখালো পড়ুয়ারা। যদিও কলেজের অধ্যক্ষ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গত কয়েক মাস ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এ নিয়ে লাগাতার রাজ্যকে নিশানা করছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।তার মধ্যেই এবার নিয়োগ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল ওঠায় চাঞ্চল্য ছড়ালো।
২০১৬ সালে দেশপ্রাণ কলেজে অতিথি শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন নমিতা দাস।নমিতা দাস আদতে শিশির অধিকারীর ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক মলয় দাসের স্ত্রী। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ এর সুযোগ নিয়ে বাংলার অতিথি শিক্ষক হিসেবে অন্যদের টপকে তালিকার নীচে থেকেও নিয়োগ পান নমিতা দাস।উল্লেখ্য নমিতা দেবীর নিয়োগের সময় দেশপ্রাণ কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি ছিলেন তমলুকের সাংসদ তথা শিশির অধিকারীর সেজ ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী। আর মলয় বাবু দিল্লিতে সাংসদ শিশির অধিকারীর অফিসে থাকেন।
পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখালেও কলেজের অধ্যক্ষ সুবিকাশ জানা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নিয়োগ নিয়ে অযথা বিতর্ক করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের ইউনিট সভাপতি নিমাই দাস, জেলার সহ-সভাপতি তারাশঙ্কর পণ্ডা, ছাত্রনেতা নিতাই বারিক, রাজা পণ্ডা, শেখ সুরাজ, অরিন্দম দেবনাথ, রঞ্জিত দাস, শাফিউল আলি খান, আয়েত আলি খান, সঞ্জয় বারুইরা।