বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরূপের অভিযোগ আনলো খোদ বিজেপির টিকিটে জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। এই ঘটনাকে ঘিরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। অভিযোগ গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং সচিব ও সেক্রেটারি এর যোগসাজোসে ফিফটিন ফিনান্স এর ৩৫ লক্ষ টাকা সহ বিভিন্ন তহবিল থেকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা তছরূপ হয়েছে ।সরকারী অর্থ তছরূপের এমন অভিযোগ এনেছে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যরা। বিভিন্ন তথ্য বিডিও ও নন্দীগ্রাম থানা জমা দিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলেও জানা গেছে।
বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অর্থ তছরূপের অভিযোগ উঠলে জেলাশাসক জেলা প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকদের দিয়ে একটি পর্যবেক্ষক দল গঠন করে আভ্যন্তরীণ অডিট করেন। জানা গেছে সেই অডিটে বিভিন্ন খাতে অর্থ খরচের অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন কন্ট্রাক্টর এর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে অনলাইন টাকা দেওয়া হয়েছে যার পেছনে কোন যুক্তি বা তথ্য নেই। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত সচিব নীলকমল জানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নন্দীগ্রাম ১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবাশীষ দাস অভিযোগ করে বলেন পঞ্চায়েতের স্বচ্ছতা আনতেই বিজেপির সদস্যরা অভিযোগ তুলেছেন। এই ব্যাপারে বিজেপিতে দলীয়ভাবে অভিযোগ হয়েছে। যেহেতু তিনি বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হিসাবে জয়ী সেহেতু তিনি দাবি করেছেন দল তার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শেখ সুফিয়ান বলেন এই দুর্নীতি বরদাস্ত করা যাবে না। তিনি জেনেছেন ফিফটিন ফিনান্সের ৩৫ লক্ষ টাকা এবং পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিলের টাকা মিলে ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা তছরূপ হয়েছে। তাঁর দাবি পঞ্চায়েত প্রধান এবং সেক্রেটারিকেও গ্রেপ্তার করা উচিত।
নন্দীগ্রাম এক ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ অভিযোগ করে বলেন গত ২৪ অক্টোবর আভ্যন্তরীণ অডিট করেছে জেলা প্রশাসন তাতে প্রমাণিত হয়েছে যে অর্থ তছরূপ হয়েছে। তবুও কেন প্রশাসনিকভাবে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না হলে প্রশ্ন তুলেছেন। এক্ষেত্রে পঞ্চায়েত প্রধান এবং সেক্রেটারিকে গ্রেপ্তার করা উচিত। প্রশাসন সেই ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কেন। শুধু তাই নয় প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জন্য তৃণমূল আন্দোলন নামবে বলে জানিয়েছেন