পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পশহর হলদিয়ার টাউনশিপের বাসিন্দা এক নাবালিকাকে বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে দেহ ব্যবসার উদ্দেশ্যে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনকে সাজা দিলো আদালত।হলদিয়া পকসো আদালতে এই মামলায় আমৃত্যু কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গত ২০১৭ সালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এর বাসিন্দা শাহ জামাল মোল্লা নামে এক যুবক সামাজিক মাধ্যমে হলদিয়ার একটি ১৬ বছরের নাবালিকাকে প্রেমের জালে জড়ায় ।এরপর ওই বছরেই ২৫ অক্টোবর নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে পালায় অভিযুক্ত । হলদিয়া থেকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকাকে দেহ ব্যবসার কাজে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে মেয়েটিকে না পেয়ে ঘটনার পরের দিনে হলদিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন নাবালিকার পরিবার(কেস নম্বর ১০৯/ ২০১৭)। এই ঘটনা তদন্তে নেবে হলদিয়া থানার পুলিশ এবং সিআইডি দিল্লী থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে সেই সঙ্গেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের সহ আরো একাধিক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে পুলিশ।
এই ঘটনার মামলার সরকারি আইনজীবী দেব রঞ্জন ব্যানার্জি জানান মূল অভিযুক্ত শাহাজামাল মোল্লা হরফে রাখেশকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা শোনানো হয়েছে। এছাড়াও আর এক অভিযুক্ত সালু সিংয়কে কুড়ি বছরের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি চারজন অভিযুক্ত প্রবীণ কুমার হরফে রিঙ্কু ,মনীষা মেরি, সেহেন ও আজ বেগক (ওরফে হিন্দু) কে ১২ বছরের কারা বাসের সাজা শোনানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পীড়িত নাবালিকাকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
তিনি আরো জানান এই মামলার অপর দুই অভিযুক্ত রাজকিশোর এবং রাধা এখনো অধরা। এরাও মামলার মূল অভিযুক্ত। ধরা পড়লে এদের কমপক্ষে ১২ বছরের সাজা হবে।
হয়েছিল সেই ঘটনা তদন্তে নেবে এই চক্রের মূল পান্ডা সহ ছয় জনকে পাকড়াও করে পুলিশ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চলে মামলাটি নিষ্পত্তি হল আজ হলদিয়া পকসো আদালতে এই মামলার মূল চক্রকে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।