আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তৃণমূলের শ্রমিক নেতার স্ত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তমলুক থানার পুলিশ তৃণমূলেরই এক শ্রমিক নেতা সহ দু’জনকে হলদিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ওই নেতা হলেন হলদিয়ার গিরিশ মোড় এলাকার বাসিন্দা সৈকত সেন। তিনি শিল্পশহরের একটি বেসরকারি কারখানার ঠিকা কর্মী এবং তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউ’সির তমলুক জেলা কমিটির সদস্য।
আইএনটিটিইউসি’র তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে রয়েছেন চন্দন দে। তিনি তমলুক পুরসভার ৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও। তাঁর স্ত্রী মৌমিতা জানা দে গত ৫ নভেম্বর তমলুক থানায় একটি অভিযোগ করেন। তাতে তিনি জানান, সৈকত সেনের সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। চলতি বছরের অগস্টে সৈকত সহ চারজন তাঁদের বাড়িতে এসেছিলেন। একজনকে স্ত্রী এবং আরেকজনকে শ্যালিকা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। এক আত্মীয় গুরুতর অসুস্থ দাবি করে সৈকত মৌমিতাদের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ধার চান। এক মাসের মধ্যে সেই টাকা পরিশোধ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
মৌমিতা বলেন,ওঁদের বিশ্বাস করে নিজের দেড় লক্ষ টাকা এবং আত্মীয়-পরিচিতদের কাছ থেকে আরও সাড়ে তিন লক্ষ টাকা চেয়ে ওঁদের দিয়েছিলাম। এক মাস অতিক্রান্তের পরে টাকা চাইলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টাকা দেননি। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওঁদের আত্মীয় অসুস্থ হওয়ার বিষয়টিও ঠিক নয়। মিথ্যা কথা বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছেন ওঁরা।
মৌমিতা দেবীর
অভিযোগের ভিত্তিতে, তমলুক থানার পুলিশ সৈকত-সহ চার জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। পরে হলদিয়া থেকে সৈকত এবং এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের তমলুক আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট অভীক চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে তোলে পুলিশ।