পূর্ব মেদিনীপুর জেলর কাঁথির বেসরকারি রঘুনাথ আয়ুর্বেদ মহাবিদ্যালয় ও হসপিটালের হস্টেলের নির্মীয়মান বিল্ডিং-এর তিনতলা থেকে প্রথম বর্ষের ছাত্রীর নিচে পড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কলেজ ক্যাম্পাসে।ছাত্রীর নিচে পড়ে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা প্রশ্ন উঠেছে কলেজ ক্যাম্পাসে। এটি নিছক দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা করার চেষ্টা অথবা কোন নাশকতার ঘটনা লুকিয়ে আছে কিনা সেই নিয়ে ধন্দ্বে রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পুড়ওয়ারা। রবিবার রাত্রি ৯.৪০ টা নাগাদ নিচে পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে ছুটে আসে অন্যান্য ছাত্র ও ছাত্রীরা। পরে আহত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে কাঁথি দারুয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসায় অবস্থার অবনতি হলে পরে ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার বেলেঘাটা’র মনিপাল হাসপাতালে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ওল্ড কোর্সের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর নাম সমন্বীতা দত্ত, কলকাতার কসবাতে বাড়ি। আয়ুর্বেদিক কলেজ সেবক সংঘের সম্পাদক সুকমল মাইতি জানান, কিভাবে ওই ছাত্রী নিচে পড়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তার বান্ধবীদের কাছ থেকে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল।আন্ত প্রকৃতির সমন্বীতা। হস্টেলের উপরের ফ্লোরে তালা লাগানো থাকলেও কি করে ওই ছাত্রী তিনতলায় উঠলো তা তদন্তে জানা যাবে। সহপাঠীরা এ বিষয়ে কিছু না বললেও কলেজ ক্যাম্পাসে থাকা নিরাপত্তা রক্ষী জানিয়েছে, ঘটনার সময় সে সেখানে উপস্থিত ছিল না। তবে তার বান্ধবীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী ঘটনার সময় (প্রায় রাত্রি দশটা) মোবাইলে কথা বলছিল। কলেজের সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও কিভাবে নির্মীয়মান হস্টেলের ছাদে উঠলো ওই ছাত্রী তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ওই ছাত্রী অনিচ্ছাকৃতভাবে নিচে পড়েছে, নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে – তা খতিয়ে দেখছে কাঁথি থানার পুলিশ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও কলেজের কয়েকজন ছাত্রী জানায়, কলেজ ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। বারবার জানানোর পরেও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, তাই তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তবে পুরো ঘটনা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে প্রবল ধোঁয়াশা।আয়ুর্বেদ কলেজ সেবক সংঘের সম্পাদক সুকমল মাইতি জানিয়েছেন তিনি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে গেয়েছেন সঙ্গে কয়েকজন ইন্টার্নশিপ করার ছাত্ররা ছিল এবং পুড়ুয়ারাও ছিল। পরবর্তীকালে ঐদিন রাতেই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি গিয়ে ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করিয়েছেন এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। মাথায় চোট লাগার কোন উপসর্গ বা পরীক্ষায় ধরা পড়েনি। তবে শরীরের কয়েকটি হাড় ভেঙেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। তিনি ওই ছাত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। ছুটি থাকার কারণে কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন না। কলেজের সমস্ত পড়ুয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই আহত ছাত্রীর আরোগ্য দ্রুত কামনা করেছেন বলে সূত্র মারফত জানা গেছে। সুকমল বাবু বলেন ছাত্রী ভালো আছে কথাবার্তা বলছেন।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাঁথি থানার পুলিশ।