গোষ্ঠশ্বরজিউর পুজো ও রাস মেলা উপলক্ষে ভোগ প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল দুই শতাধিক মানুষ। তৎপরতার সঙ্গে প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তর মিলে তিনটি অস্থায়ী স্বাস্থ্য শিবির খুলে এলাকায় স্বাস্থ্যপরিসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা চলছে। এই ঘটনায় রামনগর ২ ব্লকের কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চ গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর গতকাল রবিবার সকালে চিড়া ভোগ প্রসাদ বিতরণ করা হয় এলাকাবাসীর মধ্যে।সেই প্রসাদ খেয়ে গভীর রাত থেকে একে একে অসুস্থ হতে আরম্ভ করে। এলাকাটি এগরা বিধানসভা এবং রামনগর বিধানসভার সংযোগস্থল। সেই কারণে ৪-৫টি গ্রামের মানুষ অসুস্থ হতে আরম্ভ করে।দেবীদাসপুরের ২৫ জনকে পানিপারুল গ্রামীণ হাসপাতালে এবং প্রায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষকে বড়রাংকুয়া ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এলাকার বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ গিরি, রামনগর ২ ব্লকের বিডিও অখিল মন্ডল,স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিগণ।
খবর পেয়ে পানিপারুল গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে যান এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি। অসুস্থদের চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তিনি জানিয়েছেন ২৫ জন অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছেন এবং তিন জনকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং তিনি সকলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। রামনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ গিরি জানিয়েছেন অসুস্থদের মধ্যে ৪০ জনেরও বেশি জনকে বড়রাংকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা চলছে। মালঞ্চ গ্রামে তিনটি অস্থায়ী চিকিৎসা শিবির খোলা হয়েছে। এই শিবির গুলি দেখভাল করছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। শিবিরে রয়েছেন অন্যান্য চিকিৎসক এবং নার্স ও কর্মীবৃন্দ। খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজক সংস্থার কর্মকর্তা বৃন্দ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লোকজন পরিষেবা দেওয়ার জন্য ছুটে আসেন। জানা গেছে অসুস্থদের মধ্যে মহিলারাই সংখ্যায় বেশি এবং তারপর শিশুদের সংখ্যা রয়েছে। অসুস্থদের সংখ্যা ২ শতাধিক হবে বলে অনুমান করছেন। অসুস্থরা গভীর রাত থেকে পায়খানা বমি করতে থাকে। সেই কারণে তাদের পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ভর্তি করে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন। বিডিও অখিল মন্ডল বলেন চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।