Select Language

[gtranslate]
৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আবাস যোজনার সুযোগ পেতে গরিবের অভিনয়

আর্থিক অবস্থা ভালো থাকার পরেও আবাস যোজনার তালিকায়  নাম নথিভুক্ত থাকায়  আবাসের টাকা পেতে  অনেকেই  মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। কেউ ছেলের থেকে আলাদা একা হয়ে যাওয়ার অভিনয় করছেন, কেউ আবার টালির চালের রান্নাঘরে বিছানা  পেতে শুয়ে সমীক্ষক দলকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। সত্যিই প্রবীণ সদস্য ছেলের থেকে আলাদা থাকছেন কিনা তা জানতে  রান্নাঘরে ঢুকে উনুন পরীক্ষা করছেন। দেখছেন সেখানে জোড়া উনুন  রয়েছে কিনা। সব মিলিয়ে সঠিক তথ্য  খুঁজতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে এই সমীক্ষকদের।

এগরা মহকুমায় পাঁচটি ব্লকে  আবাস তালিকায় নাম রয়েছে ৫০ হাজার পরিবারের। ২০১৯ সালের এল সমীক্ষার পরেই এক তৃতীয়াংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল। পরে
কেন্দ্রের নির্দেশে পঞ্চায়েতগুলিতে জাতিভিত্তিক উপভোক্তা তালিকা তৈরি হয়। আবাস প্রাপক কাঁচাবাড়ির মালিকেরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দেশে বাড়ি ভেঙে ফেলেছিলেন। কেউ বাড়ির ভিত খুঁড়ে জিও ট্যাগিং করা ছবি গ্রাম পঞ্চায়েত নিদিষ্ট অ্যাপে আপলোড পর্যন্ত করেছিলেন।

কিন্তু আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্র আবাসের টাকা না দেওয়ায় অনেক দরিদ্র মানুষ তাঁদের শেষ সম্বল কাঁচা বাড়ি ভেঙে দিয়ে বিপদে পড়েন। আবার এগরা মহকুমায় প্রায় ৪০০-৫০০ বেশি এমন প্রবীণদের নাম আবাস প্রাপক তালিকায় রয়েছে, যাঁরা তাঁদের ছেলের সঙ্গে পাকা বাড়িতে থাকেন। নিয়ম অনুযায়ী, পাকা বাড়ি থাকায় ব্যক্তি তাঁদের বাড়ি করার টাকা পাওয়ার কথা নয়। সত্য আড়াল করতে এঁদের অনেকে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন বলে অভিযোগ।

এই পরিসংখ্যান সবচেয়ে বেশি পটাশপুরে। অনেকে সাজানো পাকা বাড়ি ছেড়ে ঝুপড়ি রান্না ঘরে বিছানা পেতে বসবাস করছেন সমীক্ষকদের চোখে ধুলো দিতে। কেউ আবার ছোলের থেকে আলাদ রয়েছে বলে সমীক্ষক দলকে বোঝানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন। কেউ নিজের পাকা ঘরকে অন্যের বাড়ি বলে দাবি করছেন। অন্যের ঝুপড়ি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তাঁরা জমা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।

ফলে সমীক্ষকদের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের আর্থিক ও পারিবারিক অবস্থা পরীক্ষা করতে হচ্ছে। প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়ে অনেক ক্ষেত্রে গোপনে তালিকায় থাকা ব্যক্তির পাকা বাড়ি ছবি সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রশাসনকে দেওয়া তথ্য ভুল প্রমাণিত হলে ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে সেই উপভোক্তার নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে।

পটাশপুর-২ পঞ্চায়েতে সমিতির সভাপতি স্বপন মাইতি বলেন, “ছেলের পাকা বাড়ি রয়েছে। সেখানে ছেলের সঙ্গে বসবাস করেন, এমন অনেক অভিভাবক আবাস যোজনার ঘরের টাকা পেতে নানা ছলাকলার আশ্রয় নিচ্ছেন। তাই প্রত্যেকের বাড়ি একধিক বার যাচাই করছেন সমীক্ষকেরা

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read