কাঁথি মহকুমা খটি মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির উদ্যোগে ২১শে নভেম্বর বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবস উদযাপিত হল তমলুকের সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে।
মহকুমা সংগঠন আশির দশকের শুরু থেকেই মৎস্যজীবীদের পাশে থেকে নানা দাবি দাওয়া আদায়ের লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। দিঘা থেকে সুন্দরবন ১৭০ কিমি উপকূল এলাকায় কয়েক লক্ষ মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার তাই তাদের দাবি এত পরিমানে গরিব দুঃস্থ মৎস্যজীবীরা কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করবে। তাই বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবসকে সামনে রেখে সারা বাংলা মৎস্যজীবীদের একই আওয়াজ জল জঙ্গল জমিন এর অধিকার মৎস্যজীবীদের নিতে হবে। জল জঙ্গল জমিন এর অধিকার মৎস্যজীবীদের সাংবিধানিক অধিকার স্বীকৃতির সাথে সাথে মৎস্য ব্যবসা মৎস্য চাষ মৎস্যদের অতিসত্বর মৎস্যজীবী পরিচয় পত্র প্রদানের দাবিতে বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবস উদযাপনকে সামনে রেখে এগিয়ে চলছে। বিশ্ব মৎস্যজীবী দিবস সর্বাত্মক পালনের ডাক দিয়ে সমাবেশ উপস্থিত হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। রাজ্যের মৎস্যজীবী চাষীদের স্বার্থে মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক ছিলেন এন এফ এফ এর সভাপতি মিস্টার এম এলাঙ্গ উপস্থিত ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিটের ফিচারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি প্রণব কুমার কর, ছিলেন সম্পাদক জয় কৃষ্ণ হালদার ছিলেন সমস্ত অধিক তাম্রলিপ্ত পৌরসভার পৌরপিতা দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়, শ্যামসুন্দর দাস সহ মৎস্য অধিকর্তা পূর্ব মেদিনীপুর সৌরেন্দ্রনাথ জানা ছিলেন সহ মৎস্য অধিকর্তা সামুদ্রিক সুমন সাহা ছিলেন সহমৎস্য অধিকর্তা নোনা জল পূর্ব মেদিনীপুর এবং মৎস্যজীবীর নেতৃত্বে শ্যামসুন্দর দাস মৎস্যজীবীদের বন্ধু মিন মিত্র মির মমরেজ আলী সহ অন্যান্যরা। কাঁথি মহকুমা মৎস্যজীবী নেতা লক্ষীনারায়ণ জানা বলেন, “মৎস্যজীবীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে হবে। আগামীদিনে কলকাতায় মৎস্যজীবীদের নিয়ে বৃহত্তর সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লক্ষীনারায়ণ জানা।”