প্রদীপ কুমার সিংহ::—বারুইপুর: জমি জীবিকা রক্ষা কমিটির সাথে বৈঠকে বসলেন জেলা প্রশাসন। বুধবার বারুইপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে পাশে জেলা পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জমি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক জেলা প্রশাসনের। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ 24 পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা ও বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শ্রীমতি পুষ্পা সহ বারুইপুরের মহকুমার শাসক সুমন পোদ্দার সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এবং ভাঙ্গরের জমি রক্ষা কমিটির ছয় সদস্যের একটি দল। গতকাল ভাঙড়ে শুরু হয় জমি আন্দোলন। জমি রক্ষা কমিটির নেতা অলীক চক্রবর্তীর কথা বলে জানা যায় তাদের দাবি ভাঙ্গরে কিষাণ মান্ডির জন্য সরকার যে জমি নিয়েছে সেই । যত ঋণ চুক্তি অনুযায়ী কাজ ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড সাব স্টেশনের তালা খোলা হবে না বলে মঙ্গলবার সকালে বিস্ফোত দেখাল ভাঙড়ের জমি জীবিকা বাস্ততম ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি। পাওয়ার গ্রিডে তালা ঝুলিয়ে কমিটির নেতা মির্জা হাসানের দাবি, রাজ্য সরকারের সঙ্গে হওয়া চুক্তি তাঁরা মানেন না। সপরিবারে ছোটদের সঙ্গে নিয়ে অৱস্থান বিক্ষোভে সামিল হন বড়রা। সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চলতে থাকায় হাড়োয়া রোডে যান চলাচল সামগ্রিক স্তন্ধ হয়ে যায়। ভারতের বিডিও, কাশীপুর থানারতমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা বলেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে।
এর আগে বেশ কয়েকবার আন্দোলনকারীরা তাদের দাবি নিয়ে সাব কমিটির মাধ্যমে জেলাশাসক এবং মহকুমাশাসকের দপ্তরে বৈঠক করেছেন। বারুইপুরের মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার জানান, আজ বুধবার পাওয়ার গ্রিড সাব কমিটির বৈঠক হয় বারুইপুরে। তারপরেও বিক্ষোভ অবস্থান নিয়ে আধিকারিকরা জামি কমিটির দাবি, অবিলম্বে বিদ্যাধরী নদীসংস্কার, এলাকায় হিমঘর নির্মাণ টোনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নতকরণ এবং বকেয়া মামলা প্রশ্নাহার করতে হবে। না হলে নতুন করে আন্দোলন শুরু করবে জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র পরিবেশ রক্ষা কমিটি।চার বছর আগে পাওয়ার বিরোধী জমি আন্দোলনের সময়ে জমি কমিটির দাবি অনুযায়ী সরকারি ভাবে প্রশাসনের সঙ্গে বেশ কিছু চুক্তি হয়। জাহিদের ক্ষতিপুরণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ১২ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও বিদ্যাধরী সংজ্ঞারীর উপর রাস্তা নির্মাণ, হিমঘর নির্মাণ, বিদ্যুতায়ন, টোনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নতিকরণ, বকেয়া মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তি হয়।
ব্লক প্রশাসনের দাবি, সেই চুক্তি অনুযায়ী ইতিমধ্যে ১২ কোটি টাকার মধ্যে সাড়ে ১১ কোটি টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। টোনা স্বাস্থ্যকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। পাওয়ার প্রিয় এলাকায় হিমঘর তৈরির জন্য জমি চিহ্নিতকরণ ত অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। বিদ্যাধরী নদীর পাড় বরাবর রাস্তা নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনে ৭৭টি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৬টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন দশটি এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ পাওয়ার দিতে এই আন্দোনের কোন যৌক্তিকতা নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম। তিনি বলেন, এঁদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী কাজ চলছে। সরকারি কাজ করতে গেলে একটু সময় নিতে হয়। এঁরা একবার ছাড়া দু’বার আলোচনা করতে পারেন, কিন্তু যেটা করছেন সেটা শোভনীয় নয়।দাবি,পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন গ্রামগুলির উন্নতি ও বাসিন্দাদের ক্ষতিপূরণ বাবাদ ১২ কোটি টাকার প্যাকেজ।হাড়োয়া রোড-সহ এলাকার রাস্তার উন্নতি
। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলি তোলা
সমস্ত এজেন্সি ও জমি কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে সাব কমিটি তৈরি করে ধারাবাহিক আলোচনা
বিদ্যাধরী নদীর পলি তুলে সংস্কার ও নাব্যতা বাড়ানো
টোনা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দশটি বেডের ব্যবস্থা।
পোলেরহাট ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় হিমঘর তৈরি। ভাঙ্গরের জমি রক্ষা কমিটির নেতা অলীক চক্রবর্তী সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পারি যে হিমগড় এর জন্য যে জমি নিয়েছে সরকার সেই জমি রেজিস্ট্রেশন যতক্ষণ না হবে জমি মালিকদের হাতে টাকা তুলে দেবে বা এই নিয়ে যা চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তি মানবে ততক্ষণ তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে যদিও জেলা শাসক এই ব্যাপারে বলেছেন কিছুদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করবে।