Select Language

[gtranslate]
৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ শনিবার ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে খালগুলি সংস্কারের স্মারকলিপি

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমার তিনটি খাল বাদে বাকি খালগুলিতে বোরো চাষের জন্য জোয়ারের জল পাওয়া যাবে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে জেলা শাসককে ওই খালগুলি সংস্কারের দিনক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে গতকাল স্মারকলিপি দেওয়া হয় এবং অতিরিক্ত জেলা শাসক(উন্নয়ন)এর সাথে দেখা করা হয়।
           কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক জানান,অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোয়াদিঘি খালের জন্য খনিজ দপ্তরের অধীনস্থ ডব্লিউ বি এম ডি টি সি এল কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজের জন্য ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছে। খালের জমা জল বের হলেই কাজে হাত দেবে ঠিকাদার। গঙ্গাখালি খাল সংস্কারের কাজ চলছে। প্রায় অর্ধেক অংশের কাজ হয়েছে। বাকি অর্ধেক অংশ(মিলননগর থেকে হীরাপুর পর্যন্ত)ওই  জলবন্দী এলাকার জল নেমে গেলে ঠিকাদার খালটির ওই অংশ পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের কাজ শুরু করবে। পায়রাটুঙি খাল সংস্কারের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ ইতিমধ্যে টেন্ডার নোটিস করেছে। ঠিকাদার পাওয়া গেলে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ওই খাল সংস্কারের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে। যদি ওই প্রক্রিয়া বোরো চাষ শুরুর আগে সম্পূর্ণ হয়, তবে খালের জলে নির্ভর করে যারা চাষ করেন, তারা ওই জল পাবে না। তাহলে খাল সংস্কারের কাজ শুরু হবে। মহকুমার নির্দিষ্ট ১৩ টি খালের বাকি ১০টি(দেহাটি,দেনান, মির্জাপুর,কামিনা, জয়গোপাল,জঁফুলি,টোপা,ফোর-এ ফোর-বি মেন ক্যানেল,বাসুয়া প্রভৃতি)খাল এলাকার কৃষকেরা বোরো চাষের জন্য জোয়ারের জল পাবেন। কারণ ওই খালগুলির সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করতে সময় লাগবে।
             অতিরিক্ত জেলা শাসক(উন্নয়ন)আরো জানান,পায়রাটুঙি খাল সংস্কারের প্রকল্পটি ডব্লিউ বি এম ডি টি সি এল এর পদ্ধতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ কর্তৃক রূপায়িত হবে। জেলার এই প্রকল্পটি একটি “পাইলট” প্রকল্প হিসাবে ধরা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সাফল্য মিললে ধাপে ধাপে ঐ ১০টি খাল সহ জেলার অন্যান্য খালগুলিও একই নিয়মে সংস্কার করা হবে। আপাতত এ ব্যাপারে রাজ্যের অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে সেচ দপ্তর ওই খালগুলির স্কীম তৈরি করবার জন্য সার্ভের কাজ শুরু করেছে।
          জেলা শাসককে দেওয়া চিঠিতে কমিটির পক্ষ থেকে নারায়নবাবু জানিয়েছেন,খাল সংস্কারের ওই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে বর্ষার পূর্বে আগামী বছরের এপ্রিল থেকে জুন মাসের মাঝামাঝি নাগাত সময়ে খালগুলি পূর্ণ সংস্কার করতে হবে। অন্যথায় আগামী বর্ষায় সময় একই রকম জলযন্ত্রণার পরিস্থিতির মধ্যে মহকুমার ওই বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের পড়তে হবে।  ফলস্বরূপ দুবার চাষ না হওয়ার পরিপেক্ষিতে চলতি বোরো মরশুমের চাষের বিষয়ে অনিশ্চয়তা দূর হল।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read