ভুয়ো টেন্ডার দুর্নীতিতে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে গ্রেফতার সস্ত্রীক বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নবারুণ নায়েক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার পুলিশ নবারুণ ও তাঁর স্ত্রী তনুশ্রী রায় নায়ককে গ্রেফতার করে। বুধবার তাদের তমলুক মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, দুটি ভুয়ো টেন্ডার দিয়ে দেড় কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নবারুণ ও তাঁর স্ত্রী-সহ মোট ছয়জনের নামে। ঘটনায় প্রতারিত ঠিকাদারের তরফ থেকে তমলুক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়, এই টেন্ডার দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত বিজেপির রাজ্য সম্পাদক নবারুণ ও তাঁর স্ত্রী ধৃত বিজেপি নেতা তনুশ্রী। যাঁরা তমলুক পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বিজেপির রাজ্য সম্পাদক ও তাঁর স্ত্রী ছাড়াও অসমের বাসিন্দা দীপঙ্কর ধর ও সোমনাথ, পুলক, অলোক কুমারের নাম জড়িয়েছিল দুর্নীতিতে। এই ঘটনায় অভিযোগকারী
প্রতারিত ঠিকাদার বিশ্বজিৎ দত্ত কলকাতার গড়িয়ার বাসিন্দা। গোটা টেন্ডারটি বিশ্বজিৎ ও তাঁর সহযোগী ঠিকাদার ডায়মন্ড হারবারের কালীচরণপুরের বাসিন্দা ভাস্কর মণ্ডল নিয়েছিলেন। দু’জনেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন জানতে পেরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গিয়েছে, অসমের বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজনের বিভিন্ন কাগজপত্র দেখিয়ে কম্বল সরবরাহ করার জন্য দুই ঠিকাদারকে দিয়ে পৃথক দুটি টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন নবারুন। তার বিনিময়ে ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা নেন। এর আগে একাধিকবার তমলুক থানার তরফ থেকে নবারুণ ও তাঁর স্ত্রীকে জেরা করা হয়। বেশ কয়েকবার হাজিরা এড়িয়েছেন নবারুণ নায়েক। মঙ্গলবার চতুর্থ পর্যায়ের পুলিশি জেরায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তার জেরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তমলুক থানা দুজনকে গ্রেফতার করে। তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি মানেই তোলাবাজ। আমরা আগেই জানিয়েছিলাম, ওদের দলে চোর, গুণ্ডা, হার্মাদে ভর্তি। পুলিশ তদন্ত করুক।