আজ অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে বিজেপি পরিচালিত হৈপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু গড়ে বিজেপির এই পরাজয় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার
কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত হৈপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এ মোট ২৩ জন পঞ্চায়েত মেম্বার এর মধ্যে তৃণমূলের প্রতীকে জয়যুক্ত হয়- ১১ জন ও বিজেপির প্রতীকে ১২ জন জয়যুক্ত হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি।
চুরি ও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অশোক সামন্ত কে বেশ কয়েক মাস গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে দেখা যায়নি। কার্যত, বেহাল অবস্থা তৈরি হয় গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। আজ অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে সেই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের পক্ষে ১১ জন ও বিজেপি’র ১ জন মেম্বারের সমর্থনে ও পঞ্চায়েত সমিতির ৩ জন মেম্বারের মধ্যে ১ জনের সমর্থনের পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির একজন মেম্বার উপস্থিত হলেও বাকি সকলে অনুপস্থিত। ফলে অনাস্তর পক্ষে তৃণমূলের ১১ জন বিজেপির ১জন ও পঞ্চায়েত সমিতির ১জন মেম্বারের সমর্থনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে, ভোটাভুটির মাধ্যমে স্থায়ী সমিতির ভেঙে যায় তৃণমূল।
তাই ফলাফল স্বরূপ আবির মেখে, ব্যাঞ্জো বাজিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে কাঁথি থানার আই.সি’র উপস্থিতি তে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় এই অনাস্থা ভোট।
কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা আমিন সোহেল বলেন, চুরি ও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ছিল হৈপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। আমরা আজ অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে পঞ্চায়েত প্রধানের অপসারণ ঘটালাম। আগামী দিনের সমস্ত বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত আমরা দখল করব। পাশাপাশি আগামী দিনে বিজেপি পরিচালিত কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতি দখলের কথা বলেন তিনি।