প্রদীপ কুমার সিংহ :- এক যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলো নেশা ও মানসিক মুক্তি কেন্দ্রে।নেশা ও মানসিক মুক্তি কেন্দ্রে এক যুবকের মৃত্যু কে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালো বারুইপুরের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সংলগ্ন 15 নম্বর ওয়ার্ডে চার্চ লেন এলাকায় । মৃতের নাম সৌরভ মণ্ডল (২৬)। বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার বারুইপুরের সাউথ গড়িয় এলাকায়।উত্তেজিত পরিবারের লোকজন ভাঙচুর চালায় ওই কেন্দ্রে। বারুইপুর থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে আসে এবং পরিস্থিতি সামাল দেয় । ওই কেন্দ্রের দেখা শোনার লোকজন ঘটনার পর থেকেই পলাতক। বারইপুর পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিকের অভিযোগ, অসুস্থ হয় ওই যুবক শুক্রবার। এই দিন সন্ধ্যায় তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে যায় এবং তার চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়। এরপরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে এলাকায় এসে ভাঙচুর চালায়। বারুইপুরে নিবাসী অভিষেক দাস ১০ বছর ধরে ভাড়া বাড়িতে ওই কেন্দ্র চলতো। ঘরে প্রায় সময়েই লাঠি দিয়ে মারধোর করা হত যুবকদের স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ।
তাঁদের দেখাশোনা হত না।রাতে উপদ্রুব বাড়তো। পাড়ার লোকজন অতিষ্ঠ ছিল। বাড়ির মালিক কে বারংবার এই ব্যাপারে বলা হলেও তিনি কর্ণ পাত করেননি। জানা গিয়েছে, ওই কেন্দ্রে ১৩ জন যুবক থাকতো। তাঁদের রাতেই পুলিশ ওই কেন্দ্র থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যায়। এদিন ওই যুবক অসুস্থ হয়ে যাওযার পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে বিকাল 3.30 নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে সন্ধ্যা 6.30 টায় মারা যায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতালও ঠিক চিকিৎসা করেনি। প্রতিবেশি ঝর্ণা গোস্বামী বলেন, রাতে ঘুমাতে পারতাম না ওই যুবকদের চিৎকারে। আমরা কেন্দ্রের বাড়ির মালিক ইন্দ্রজিৎ ধর কে এই ব্যাপারে জানালেও উনি গুরুত্ব দেননি। ওই কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার লোকজন। যদিও থানায় এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ জমা পড়েনি।