পশ্চিম বঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলায় প্রথম বিদ্যালয় হিসাবে তামাক মুক্ত বিদ্যালয়ের শিরোপা অর্জন নয়াপুট হাইস্কুলের ।
তামাক সেবনের ফলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে সেই বিষয়ে সচেতন তামাকের ক্ষতিকারক দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয় বিদ্যালয়ে। পাশাপাশি রঙিন ছবির মাধ্যমে ভয়াবহ দিকগুলিও তুলে ধরা উচিত । তামাক সেবন কি কমানো গিয়েছে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। সিগারেটের প্যাকেটে কিংবা সিনেমাহলে এই বিষয়ে সচেতন করা হয়। তবে এই বিষয়ে আর কীভাবে সচেতন করা যায় তা জানালেন স্কুলশিক্ষকরা ৷
স্কুল শিক্ষকদের মতে, বাড়িতে বাবা মায়ের কাছ থেকে শিশুর শিক্ষা জীবন শুরু হয় । তারপর সে স্কুলে ভরতি হয়। সেই শিশু যখন ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণিতে ওঠে তাদের মধ্যে একটা পরিবর্তন শুরু হয়। তাদের মধ্যে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নকল করার একটা প্রবণতাও দেখা যায়। ফলে স্কুলের পাঠ্যবইতে যদি তামাক সেবনে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে সেই বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আলোচনা করতে পারেন তাহলে একটা প্রজন্ম কিছুটা হলেও প্রথম থেকে সচেতন হবে ৷ পাশাপাশি রঙিন ছবির মাধ্যমে যদি তুলে ধরা যায় তাহলে শিশুদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে।
প্রধান শিক্ষক বলেন, “তামাক একটা সর্বনাশা নেশা। দিনে দিনে তামাকের ব্যবহার এত বেড়েছে যে টিনেজেই ছেলেরা এই নেশায় আসক্ত হতে শুরু করছে। সুতরাং স্কুল থেকেই আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে হবে ৷ বিষয়টি যদি পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্ত করা যায় তাহলে তো আরও ভালো হয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একশো গজের মধ্যে সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটা একটা ভালো পদক্ষেপ।”পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্যে নয়াপুট সুধির কুমার হাই স্কুল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।