Select Language

[gtranslate]
৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ রবিবার ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩০ এপ্রিল দিঘায় উদ্বোধন হবে জগন্নাথ মন্দির,ঘোষনা মমতার

আগামী অক্ষয়া তৃতীয়ায় দিঘায় নির্মীয়মাণ জগন্নাথ  মন্দিরের উদ্বোধন হবে। একই সাথে এই মন্দিরে পরিচালন কমিটিও ঘোষনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
“আগামী কয়েক হাজার বছর ধরে বাংলার সমুদ্রতীরে অন্যতম তীর্থধাম হবে এই জগন্নাথ মন্দির।”পুরীর আদলে দিঘায় নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দির বুধবার দুপুরে পরিদর্শনের পর ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এছাড়াও তিনি বলেন রথযাত্রার সময়ে ব্যাবহারের জন্যে সোনার ঝাড়ু বানিয়ে দেবেন তিনি। এই ঝাড়ু তৈরীর জন্যে  নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেবেন মমতা। তৈরি করবে ইসকন।

গত ২০১৯ সালে দিঘায় পুরীর মন্দিরের আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর কোভিড পর্ব কাটিয়ে গত  ২০২২ সালের মে মাসে নতুন দিঘায় ২২ একর জমির উপর মন্দির তৈরির কাজ শুরু করে হিডকো। বুধবার বেলা দেড়টা নাগাদ মন্দির চত্বরে যান মমতা। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, জেলাশাসক পূর্নেন্দু মাঝি, এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি, কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।

মন্দির পরিচালনার জন্য মুখ্যসচিবকে মাথায় রেখে একটি  ট্রাস্টি বোর্ড তৈরী করা হচ্ছে বলে জানান মমতা। তাতে থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্রাস্টি বোর্ডে থাকবেন ১৩ জন সদস্য। তার মধ্যে থাকছেন পুরীর মন্দিরের পাঁচ জন, সনাতনী প্রতিনিধি হিসাবে চার জন এবং চার জন স্থানীয় পুরোহিত।বোর্ডের সদস্য হবেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, ইসকন এবং সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি এবং দিঘার মাসির বাড়ি জগন্নাথ দেবের মন্দিরে যিনি পুজো করতেন।

উড়িষ্যার
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে এই মন্দির তৈরী হলেও তার সাথে এর তুলনা টানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন ওটা রাজাদের সময়কার। এটা সরকার করেছে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন সমুদ্রসৈকতে একটি জগন্নাথ মন্দির তৈরি করব বলে ঠিক করেছিলাম। আমার সঙ্গে সরকারি আধিকারিকরা ছিলেন। তিন বছর পর সেই কাজ শেষ হল।যেটুকু বাকী আছে আগামী তিন মাসের মধ্যে  শেষ হয়ে যাবে। আগামী অক্ষয়া তৃতীয়ায় মন্দিরের উদ্বোধন হবে। আগামী বছর হবে রথযাত্রাও।

রাজ্য-দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গোটা বিশ্বের মানুষকে দিঘার মন্দিরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বলেন আগামী দিনে সারা ভারতের পর্যটক এবং ভক্তদের আলাদা করে নজর কাড়বে পুরীর আদলে তৈরি এই মন্দির।


  মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন দিঘার জগন্নাথ ধামের মূল দরজাটি থাকবে চৈতন্যদ্বারে। নাম হবে ‘চৈতন্যদ্বার জগন্নাথ ধাম’। তিনি বলেন,  পুরীতে যেমন প্রতিদিন ধ্বজা তোলা হয়, তেমন করে এখানেও প্রতিদিন মন্দিরে পতাকা তোলা হবে।পুরীর মন্দিরে ধ্বজা তুলতে পারেন এমন কয়েকজনকে দিঘার মন্দিরে পাঠানোর অনুরোধও জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, আলাদাভাবে ভোগঘর, স্টোর রুম, গেস্ট রুম, বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা থাকবে। পুজো দেওয়ার সামগ্রী বিক্রির আলাদা জায়গা থাকবে। সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরে জিনিসপত্র বিক্রির ব্যবস্থাও করা হবে।তিনি আরও জানান, ওই স্থানে পুলিশ পোস্ট, রথ রাখার জায়গা ইত্যাদি তৈরি হবে।মুখ্যমন্ত্রীর বলেছেন এখানে আমি কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চাই না। আমি কিন্তু ট্রাস্টের মেম্বার নই। এখানে যা করছি স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে করছি। বাকিটা ট্রাস্টির সদস্যেরা করবেন।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read