বিজেপির ৩০ জন নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে তৃণমূল। এই অভিযোগে বুধবার থানায় দুপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রতিবাদ জানায়। অভিযোগ রবিবার রাতে তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মন্ডল ও গুরুপদ মন্ডল কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারলে দুজনকে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গুরুপদ চিকিৎসাধীন। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপি কর্মী তাদের ভোজালির কোপে খুন করেছে। ৩০ জন বিজেপি কর্মীর নামে নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। অভিযোগ পেয়ে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। নন্দীগ্রাম থানায় প্রতিবাদ জানায় শুভেন্দু অধিকারী। থানা থেকে বেরিয়ে বলেন স্কুলে পরীক্ষা চলছে বলে তিনি একা গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন প্রতিবাদ জানাতে গেলে সাংবাদিকদের থানায় ঢুকতে দেয়নি। আইসি অনুপম মন্ডল কে বলেছেন আগে সি আর পি সির অধীন কাজ করতেন বেতন জনগণ দিত। এখন জি এম এস এর অধীন কাজ করতে হয় বেতন জনগণ দেয়। পিসি বা ভাইপো কেউই দেয় না। তিন দিন ধরে যা করেছেন আইনের বাহিরে। একটা ঘটনার পিছনে দুটি এফ আই আর হয় না। এই ঘটনাটি পরিষ্কারভাবে পারিবারিক সমস্যা। বিষ্ণুপদ মন্ডল খুন হয়েছে মামাতো ভাই উত্তম মন্ডলের দ্বারা। সেদিনের রাত্রির ঘটনায় যাদের নাম দিয়েছে তাদের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন করে দেখলে বোঝা যাবে তারা কোথায় ছিলেন। আপনারা কত বড় মিথ্যাবাদী তা বোঝা যাবে। তৃণমূলের হয়ে তাদের সেবা করার জন্য কত নিচে নেমেছেন, তুহিন বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুলিশ সুপারের নির্দেশে। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ মজুমদার কে নাম না করে কটাক্ষ করে বলেন কচুবনে লাথি খাওয়া একটা মাল এসেছিল বলে তার ভয়ে এই সব করছেন। তিনি বলে এসেছেন তার অফিসে সার্চ করতে গিয়েছিলেন। হাইকোর্ট করেছিলাম। আমি আপনাদের কান মোলা খাইয়েছি হাইকোর্টে। ৩৫টি মিথ্যা মামলা করেছে নন্দীগ্রাম থানা। শুধু একটাই কারণ মমতা আমার কাছে হেরেছিল। সব ভোটে হারবেন বলে দাবি করেন। আর এর প্রতিবাদ হবে।