পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণের স্থায়ী প্রকল্প “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে” কেন্দ্র সরকার কোনও অর্থ বরাদ্দ না করায় রাজ্য সরকারই ওই প্রকল্প রূপায়ণ করবে বলে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে,সেজন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সেচমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আজ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে মাস্টার প্ল্যানে রাজ্য সরকার যে কাজ করবে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ সহ রূপায়নের জন্য গঠিত জেলা লেভেল মনিটরিং কমিটিতে সংগ্রাম কমিটির প্রতিনিধি সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আধিকারিকদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সেচ দপ্তরে ঘাটালের এসডিও কেও ডেপুটেশনের মাধ্যমে ঐ দাবি-দাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও দেবাশীষ মাইতি,সহ-সভাপতি সত্য সাধন চক্রবর্তী ও বিকাশ ধাড়া,অফিস সম্পাদক কানাইলাল পাখিরা।
কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও দেবাশীষ মাইতি ওই স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছেন, দুই মেদিনীপুর জেলার তেরটি ব্লকের বিস্তীর্ন এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের ওই প্রকল্প রূপায়ণের দাবীতে গত ১৯৯৬ সাল থেকে রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে।
নারায়নবাবু অভিযোগ করেন,২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর সেচ দপ্তরের নতুন মন্ত্রী হিসেবে মাননীয় মানস ভুইঞা দায়িত্ব নেওয়ার অব্যবহিত পরেই গত ৩০ শে অগাস্ট এক স্মারকলিপি মারফত জলসম্পদভবনে দেখা করে ঐ সংক্রান্ত কয়েকটি প্রস্তাবসমূহ আমরা ওনার নিকট তুলে ধরেছিলাম। ওই প্রস্তাবের ৬ নম্বর প্রস্তাবে আমরা উল্লেখ করেছিলাম,মাস্টার প্ল্যানের অন্তর্গত কাজগুলি সুষ্ঠুভাবে রূপায়ণের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে “তদারকি কমিটি” গঠন করতে হবে। গতকাল রাজ্যের সেচমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন থেকে আমরা জানতে পারলাম,ওই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ‘জেলা লেভেল মনিটরিং কমিটি’ গঠিত হয়েছে। ওই কমিটিতে মানসবাবু সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। যে কমিটিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন পদাধিকারী সহ জনপ্রতিনিধিরা রয়েছেন। কিন্তু ওই কমিটিতে আমাদের কমিটির কোন প্রতিনিধিকে নেওয়া হয়নি। এছাড়াও,পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক কোন আধিকারিককেও কমিটিতে রাখা হয়নি। সেজন্য মনিটরিং কমিটিতে আমাদের কমিটির অন্তত: একজন প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা সহ যেহেতু “ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান” পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একটি মেগা প্রকল্প হিসাবে চিহ্নিত,তাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলারও জেলাশাসক সহ কয়েকজন প্রতিনিধিকে ওই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন জানিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী ও সেচমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সেচ দপ্তর মাস্টার প্ল্যানের কি কি কাজ করবে সে সম্পর্কিত বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশেরও দাবি জানানো হয়েছে