পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রামনগর-১ ব্লকের দুর্গাপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন দুর্গাপুর বাগানবাড়িতে শুরু হলো দুর্গাপুর মৈত্রী উৎসব । মেলা প্রত্যেক বছরের ন্যায় এ বছরও সাত দিনব্যাপী চলবে। প্রতিদিনই থাকছে সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠান। মেলা প্রাঙ্গণে নাগদরদোলা থেকে শুরু করে নানা ধরনের দোকান বসেছে।
মৈত্রী মেলার সূচনা করেন রামনগর -১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই সার। উপস্থিত ছিলেন রামনগর -১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কৌশিক বারিক, রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম, দুর্গাপুর মৈত্রী উৎসবের সম্পাদক জাবেদ খান, দুর্গাপুর মৈত্রী উৎসবের সভাপতি বাসেদ আলি সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও উৎসব প্রেমী বৃন্দ।
মেলায় প্রথম দিন নৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থান অধিকারীকে ট্রফি সহ নগদ প্রাইজ তুলে দেওয়া হয়। ১৪ ডিসেম্বর শনিবার শ্রেণীভিত্তিক নৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। শিশু শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণীর পর্যন্ত যেকোনো বাংলা ভাষার মার্জিত নৃত্য এবং চতুর্থ শ্রেণী থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা ভাষার লোকনৃত্য অথবা হিন্দি ভাষায় নৃত্য। ১৫ ই ডিসেম্বর রবিবার থেকে সাত দিনব্যাপী হাডুডু প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতার প্রথম প্রাইজ ৫০০০/- টাকা এবং দ্বিতীয় প্রাইজ ৩০০০/- টাকা। এ ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে , উৎসব প্রেমীদের মনোরঞ্জনের জন্য বিভিন্ন প্রকার নাচ ও গানের ডালা সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিত হয়ে রামনগর -১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, মৈত্রী উৎসবের উদ্বোধক নিতাই চরন সার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন বাদশা ক্লাবের আয়োজিত মৈত্রী উৎসব পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ করল। , বাদশা ক্লাব কেবল মাত্র মেলা নয় সারা বছর বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকে, মানুষের সেবামূলক কাজে, দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ায়, ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহ যোগায়।
দুর্গাপুর বাদশা ক্লাবের আয়োজনে মৈত্রী উৎসব ২০২৪ এর শুভ সূচনা অনুষ্ঠানে এসে রামনগর-১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ কৌশিক বারিক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন বাদশা ক্লাব প্রত্যেক বছরই মৈত্রী উৎসবের আয়োজন করে থাকে, মাতৃ উৎসব আগামী দিনে দেশকে জাতিকে, সমাজকে বার্তা দিতে চায় যে আমরা প্রত্যেককে সৌভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হই, প্রত্যেকের মধ্যে যেন ভাতৃত্বের বন্ধন গড়ে ওঠে। বাদশা ক্লাব কেবলমাত্র অনুষ্ঠানে আবদ্ধ থাকে না সাত দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের কালচারাল প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে। দুর্গাপুর মৈত্রী উৎসবের কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কথা তুলে ধরার এবং আগামী দিনে যাতে অনুষ্ঠান বড় ধরনের করেন এবং শ্রীবৃদ্ধি কামনা হয় সেই প্রত্যাশা রাখেন।