কেকা মিত্র :- ১৯৮২ সালের ২রা জানুয়ারী ইউনিটি মালঞ্চ প্রতিষ্ঠান হয়।
এই ৪৩ বছরে ইউনিটি মালঞ্চ ছোট-বড় ৬০টি নাটক মঞ্চস্থ করেছ। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা গুলি মহাভারতের যুদ্ধ, যুযুধান,
উলঙ্গ রাজা, মুখপাত, হনুয়া কা বেটা, দানো, এ এক মহান মিথ্যা, চরিত্র, উজাড় গাঙে, শূন্যমাটি, ঘুম ভাঙার গান, চক্রান্ত, আশ্রয়, বুধুয়ারাম এমেলুয়া,আশার ছলনে, গণেশ গম্ভীরা, বাদশা বেগম,আত্মকথন, অলীক, কাঠপুতলী, মহামায়া, জোকার, পোকা,ত্যাগ, নবভারতে চৈতন্য, ঠিকানার সন্ধানে, না পুড়ায়ো ও বিশ্বাস।
হালিসহরের বিশিষ্ট নাট্যদল ইউনিটি মালঞ্চ-র আয়োজনে হয়ে গেল চতুরঙ্গ নাট্যোৎসব ৫ থেকে ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ নৈহাটী ঐকতান মঞ্চে। ৪দিন ধরে চলা জমজমাট এই নাট্যোৎসবে বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ১৪টি সুনির্বাচিত নাটক মঞ্চস্থ হয়। নাট্যকার মনোজ মিত্র ও সঙ্গীত স্রষ্টা সলিল চৌধুরী’র নামে উৎসর্গ করা হয়েছে এই উৎসব মঞ্চ।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে নাট্যোৎসবের সূচনা করেন সঙ্গীত শিল্পী ও গবেষক শুভেন্দু মাইতি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক ও বিধায়ক সনৎ দে। সকলের স্বাগত ভাষণ ছিল তাৎপর্যপূর্ণ ও গভীর অর্থবহ।
প্রথম দু’দিন তিনটি করে নাটক মঞ্চস্থ হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ দিনে ছিল চারটি করে নাটক। প্রায় প্রতিটি নাট্যদলের নাটকের বিষয়,আঙ্গিক ও অভিনয় ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। ইউনিটি মালঞ্চ-র উৎসব মানেই দর্শক পরিপূর্ণ। এবারের উৎসবে ইউনিটি মালঞ্চ-র নিজস্ব কোন প্রযোজনা মঞ্চস্থ হয়নি। দলের কর্ণধার দেবাশিস সরকার জানান, বেশি দল যাতে সুযোগ পায় তার কথা মাথায় রেখেই নিজেদের নাট্য
প্রদর্শণ বাদ রেখেছি। মানুষের ভালোবাসা ও সহযোগিতার ফসল এই নাট্যোৎসব।