এক মানসিক বিকার গ্রস্থকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মদ্যপ তোলাবাজের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক প্রৌঢ় মহিলা। ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ব্লকের শটিলাপুর গ্রামে । গত মাসের ২৭ নভেম্বর তাপস বেরা নামে শটিলাপুর গ্রামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, তারক মাইতি নামে শটিলাপুর গ্রামেরই এক ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্য হীন তাপস কে উত্তক্ত করে ।ফলে কথা কাটাকাটি হয় ।তারক মাইতি ,তাপস কে ধরে মারধর শুরু করে ।সে সময় উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী অনিমা বেরা ও তার স্বামী প্রভুরাম বেরা (প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি) সহ কয়েকজন। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেন ও তাপস কে উদ্ধার করে ।
পরের দিন ২৮ নভেম্বর বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে যান অনিমা দেবী । অভিযোগ আগেন দিনের জেরে তারক মাইতি চা দোকানে মহিলা নেত্রী অনিমা দেবীকে দেখেই হঠাৎ তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে । চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার উপরে ফেলে দিয়ে চড়,ঘুঁসি,লাথি মারে এবং তার জামাকাপড় ছিঁড়ে বিবস্ত্র করে দেয়। পরবর্তীকালে তারকের স্ত্রী কবিতা মাইতি এসে অনিমা বেরার উপর আবার চড়াও হয় এবং তার পেটে এবং মাথায় আঘাত করে। গ্রামের মানুষরা এসে তারক মাইতি এবং তার স্ত্রীর হাত থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় বড়রাঙ্কুঁয়া হাসপাতালে অনিমা দেবীকে ভর্তি করেন ।অনিমা দেবী চিকিৎসাধীন থাকেন ।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ তারক মাইতি বিভিন্ন সময়ে মানুষের কাছ থেকে ভয়-ধমক দেখিয়ে তোলা তুলে এবং মদ্যপ অবস্থায় মস্তানি করে বেড়ায়। তাপসের এ হেন আচরনে ক্ষুব্ধ। গ্রামে এরূপ অন্যায় চলতে দেওয়া যায় না ভেবে,গ্রামের মানুষ খেপে গিয়ে জোট বদ্ধ হয়ে রামনগর থানায় ডেপুটেশন দেন ।রামনগর থানার ওসি অমিত দেব তাদের অভিযোগ গ্রহণ করেন এবং অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান। ডেপুটেশন নেতৃত্ব দেন গ্রামের মানুষ সহ সিপিআইএম পার্টির নেতা আসিশ প্রামাণিক, প্রদীপ দাস ,পূর্ণিমা ওঝা ,চারু গিরি ,স্বপ্না দোলাই, কানন দাস, যুগল কিশোর শৎপতি ,তাপস বরং সহ গ্রামের মহিলারা।