নিয়োগ দুর্নীতি পিছু ছাড়ছে না। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এ বার কলকাতা হাইকোর্টের নিশানায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। এই জেলায় ২০০৯ সালে প্রাথমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যাবতীয় নথি সিজ় করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। বাম আমলে ২০০৯ সালে প্রক্রিয়া শুরু হলেও ২০১২ সালে তৃণমূলের আমলে নিয়োগ হয়েছিল। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জেলাশাসককে নির্দেশ দেন, এখনই ওই সব নথি সিজ় করতে হবে। কাল, বৃহস্পতিবার মামলার পরবর্তী শুনানি আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, জেলাশাসককে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ার তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে হাইকোর্ট।
মামলাকারীর অভিযোগ, ২০০৯–এর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১২ সালে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন ইন্টারভিউ বোর্ডে যে সমস্ত পরীক্ষক ছিলেন, তাঁদের আত্মীয়–পরিচিতদেরই বেশ কয়েকজন চাকরি পেয়েছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন। পরে অন্য এক বিচারপতির (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) এজলাসে মামলাটি গেলেও তিনি তেমন কোনও নির্দেশ দেননি। অথচ তাঁর এজলাসেই রাজ্যের শিক্ষাসচিব রিপোর্ট দিয়ে এই অভিযোগের সত্যতা আছে বলে স্বীকার করেন। সেই মামলাটি মঙ্গলবার শুনানির জন্য ওঠে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। আগামী দিনে শুনানিতে আদালত কী পদক্ষেপ করে, এখন সেই নিয়ে জল্পনা আইনজীবীদের মধ্যে। এই নিয়ে জেলায় শিক্ষক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।