প্রদীপ কুমার সিংহ :- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক মুখ দেখলো সোনারপুরের বাসিন্দারা। সোনারপুরের বাসিন্দা সুরকার ও গীতিকার সুপ্রকাস চাকীর এক সময় সংগীত জগতে বিশাল নাম ছিল। এখন তার আর্থিক অবস্থা খুবই সংগীন। সেই খবর পাওয়ার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সোনারপুরে বাসিন্দা সুরকার ও গীতিকার সুপ্রকাশ চাকির বাড়িতে রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। তার সাথে যান সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অভিনেত্রী লাভলী মৈত্র ও রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস।
একসময়ের বিখ্যাত সুরকার ও গীতিকার সুপ্রকাশ চাকি বর্তমানে আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে রয়েছেন। বার্ধক্য জনিত নানান শারীরিক সমস্যাতেও ভুগছেন। আর্থিক কারণে নিঃসন্তান এই দম্পতি নানান সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। দূরের আত্মীয় ও তার কিছু ছাত্র ছাত্রীর সাহায্যে কোন রকমে তাদের সংসার চলে। এই বিষয়টি জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নির্দেশেই সোনারপুরে সুরকারের বাড়িতে যান রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। নিজের পক্ষ থেকে তিনি কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেন সুরকার দম্পতির হাতে। তার পাশে থাকার জন্য বিভিন্ন শিল্পীদের সমন্বয়ে সোনারপুরে কোনও চ্যারিটি অনুষ্ঠান করা যায় কিনা সেই বিষয়টিও তারা খতিয়ে দেখছেন বলে জানান মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সোনারপুরের বিধায়ক লাভলী মৈত্র জানান তারা এই পরিবারের পাশে রয়েছেন। পেশায় চিকিৎসক রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাসের সঙ্গে এই পরিবারের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। তাদের চিকিৎসাও করেন তিনি। একসাথে এত জনকে নিজেদের বাড়িতে দেখে আপ্লুত চাকি দম্পতি। তারা জানান আজ তাদের বাড়ি যেন চাঁদের হাট। শিল্পীদের যে ভাতা দেওয়া হয় সেই ভাতা যাতে এই দম্পতি পান তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি সুপ্রকাশ চাকি স্ত্রী শর্মিষ্ঠা চারি কে বার্ধক্য ভাতা যাতে দেওয়া যায় সেই বিষয়টিও দেখা হচ্ছে বলে জানান তারা।
সুপ্রকাশ বাবু বলেন আমার বাড়িতে আজকে চাঁদের হাট বসেছে আজীবন আমি এই ঘটনার কথা মনে রাখবো।
ইন্দ্রনীল সেন একসময় শুপ্রভাত বাবু স্ত্রীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল। বহুদিন পর তাকে দেখে তার স্ত্রী খুবই আনন্দিত হন।