পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে বিরাট জয় পেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়েই কার্যত খাতায় খুলতে পারলো না গেরুয়া শিবির। বস্তুত,কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ডেলিগেট নির্বাচনের ভোটে তৃণমূলের বিরাট জয়ের পরে,কাঁথির শান্তিকুঞ্জ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আর এক সমবায়ে সমস্ত আসনেই পরাজিত পদ্মশিবির। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল।
এগরার জুমকি সমবায় সমিতিতে ১২টি আসনের মধ্যে বারোটিতে জয়ী হল ঘাসফুল শিবির। এর ফলে সমবায়টির দখল নিল তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, বিজেপির ‘চরম সাংগঠনিক দুর্বলতা’ প্রমাণ করেছে এই ফল। বিজেপির দাবি, কী কারণে এমনটা হয়েছে তা তারা খোঁজ নিয়ে দেখবে।
বিজেপির দখলে থাকা জুমকি গ্রাম পঞ্চায়েতের জুমকি, মাণিকাদিঘী, বিশ্বনাথপুর, সিমুলিয়া গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে জুমকি সমবায় সমিতি। ১২টি আসনের সমবায়ে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৫৮০ । ভোট পড়েছে ৫২৬। নির্বাচনের দিন ঠিক ছিল ২০ ডিসেম্বর। এদিনের নির্বাচনে সমবায়ের বোর্ডটি তৃণমূলের দখলেই চলে গেল।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইন্দুভূষণ প্রধান ও উদয় শঙ্কর সর এবং অশোক দাসের কটাক্ষ, ‘‘বিজেপির সঙ্গে যে সাধারণ মানুষের কোনও যোগাযোগ নেই, তা আজকের ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল।’’ তাঁরা বলেন, “এর থেকে পরিষ্কার, বিজেপি কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভরসাতেই টিকে আছে। ভোটে লড়াই করার ক্ষমতা ওদের নেই।’’
পদ্মশিবিরের দাবি আবার ভিন্ন। তাঁরা স্থানীয় স্তরে কোনও গন্ডগোলের আঁচ পাচ্ছেন। বিজেপির এগরা ১ ব্লকের বিরোধী দলনেতা তাপস দে বলেন, ‘‘এটা সম্পূর্ণ ভাবে স্থানীয় নেতৃত্বের দেখার বিষয়। তবে ঠিক কোন কারণে এমন সমস্যা হল, তা খোঁজ নিয়ে দেখব।’’