প্রদীপ কুমার সিংহ :- ১৯৮৬ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর প্রথম জাতীয় উপভোক্তা দিবস পালিত হয়। সেই থেকেই এই দিনটি জাতীয় উপভোক্তা দিবস পালন করা হয়।
৩৯ তম জাতীয় উপভোক্তা আছে দিবস উপলক্ষে বারুইপুর ফুলতলায় তিন নম্বর গেটের পাশে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রে অফিস এ পশ্চিমবাংলা সরকারের ক্রেতা ও সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা একটি সেমিনার করে। এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কেতা সুরক্ষার আধিকারিক রাজকুমার দাস, খাদ্য বিভাগের প্রাক্তনী ডক্টর জগৎবন্ধু চক্রবর্তী, সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং সেই সঙ্গে বারুইপুর তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন এলাকা থেকে ৬০ থেকে ৭০ জন মহিলা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। ডক্টর জগৎবন্ধু চক্রবর্তী বলেন কোন জিনিস কিনতে গেলে তা ভালো করে দেখে কিনতে হবে। বিশেষ করে প্যাকেট জাতীয় জিনিস কিনলে তার ম্যানুফ্যাকচারিং তারিখ এবং কি কি উপাদান দিয়ে তৈরি করা আছে তা বিবরণ থাকে তা পুরোটা দেখে কিনতে হবে। প্যাকেটের গায়ে অনেক সময় সিম্বল থাকে সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে। রাস্তার ফুটের উপর যেসব খাদ্য দব্য জিনিস বিক্রি হচ্ছে তা একটু ভালো করে দেখে কিনে খেতে হবে। সব সময় এক্সপায়ারই তারিখটা লক্ষ্য রাখতে হবে। রাজকুমার বাবু বলেন কোন জিনিস কিনতে গেলে তা ভালো করে দেখতে হবে ওজন ঠিক আছে কিনা অনেক সময় পাল্লা বাটকারা দেখে নিতে হয়। বাটখারাটা ভালোভাবে দেখতে হবে কারণ অনেক সময় বাট করার নিচে ব্যবসায়ীরা কারুকার্য করে। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর পাল্লা বাটকারা প্রত্যেক বছর এ নবীকরণ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। যেকোনো জিনিস কিনলে যদি ঠকে যান তাহলে তার প্রমাণ দিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে আবেদন জানাতে পারেন বিনামূল্যে।
যেকোনো বিষয়ে কিতা সুরক্ষা দপ্তরে আপনি অভিযোগ জানাতে পারবেন কিন্তু তার প্রমাণ দিতে হবে। তাহলে আপনার সমস্যার সমাধান করবে খুব তাড়াতাড়ি এই দপ্তর থেকেই।
উপস্থিত মহিলাদের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর থেকে একটি বই দেয়া হয়েছে সতর্কীকরণের জন্য। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত মহিলারা খুবই খুশি হয়েছেন। সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের কনভেরার কল্লোল বাবু বলেন মানুষের স্বার্থে ও সমাজের উন্নয়নের জন্য তিনি এইরকম ধরনের অনেক অনুষ্ঠান করেন।