বড় সড় রাজনৈতিক ধাক্কার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।তার নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র নন্দীগ্রামে এবার বড় ভাঙন ধরলো বিজেপিতে।দলীয় নেতৃত্বের উপর একরাশ ক্ষোভ উগরে দল ছাড়ার কথা ঘোষনা কলেন নন্দীগ্রামের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিজেপি নেতা অশোক করন, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবাশিস দাস-সহ প্রায় ৫০ জন-সহ বিজেপি নেতা-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন।যা নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সারা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য অশোক করন, নন্দীগ্রাম এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবাশীষ দাস সহ প্রায় ৫০ জন বিজেপি কর্মী সমর্থক আজ রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজেদের বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষনা করলেন।
দলত্যাগীরা সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে নন্দীগ্রামে যেভাবে বিজেপি চলছে তাতে তাঁরা ক্ষুব্ধ। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে নন্দীগ্রামে পরপর দুজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হত্যা করে এলাকায় সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করা হল।তাঁদের দাবি খুনোখুনীর রাজনীতি বন্ধ করার কথা বলেও কোন লাভ হয়নি । তাঁদের অভিযোগ যে সব গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে দুর্নীতি হচ্ছে ।
দলত্যাগীরা বলছেন, সবটা উচ্চ নেতৃত্বকে বারবার বলার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বদল হয়নি পরিস্থিতির। সে কারণেই দীর্ঘদিন থেকেই চাপা ক্ষোভ বাড়ছিল দলীয় নেতৃত্বের উপর। আর সেই ক্ষোভ থেকেই শেষ পর্যন্ত একজোট হয়ে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত।