Select Language

[gtranslate]
১৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বুধবার ১লা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাবাজপুট হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি নেওয়া ও দুর্নীতির অভিযোগ

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ১ ব্লকের সাবাজপুট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাবাজপুট সম্বোধী শিক্ষার্থী হইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসী থেকে অভিভাবক এবং ,স্কুলের সহশিক্ষক অভিযোগ তুলেছে প্রধান শিক্ষক নন্দিস নিয়োগী এর বিরুদ্ধে। সরকারের নির্ধারিত ভর্তি ফি বাদ দিয়ে কোন আলোচনা না করে নিজের ইচ্ছে মতো ২৬০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।সরকার নির্ধারিত ভর্তির ফি ২৪০ টাকা মিলিয়ে একটি ছাত্র ভর্তি হলে ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। ২৬০ টাকা নেওয়া হচ্ছে সরস্বতী পুজো, দুর্গাপুজো, বিশ্বকর্মা পুজো, স্কুলের ক্যালেন্ডার, সহ অন্যান্য ইত্যাদি বিষয়ে। শনিবার  সকালে স্কুল খুলতেই গ্রামবাসী ও অভিভাবক স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে ৫০০ টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ জানায়। প্রধান  শিক্ষকের সঙ্গে অভিভাবকেদের বাকবিতণ্ডা ও  স্কুলের মধ্যে  চিৎকার চেঁচামেচি দেখে  স্কুলের সরকারি শিক্ষকগন প্রধান শিক্ষকের রুমের দিকে ছুটে আসেন। অভিভাবকরা ২৪০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা নিচ্ছে কেন জানতে চাইলে স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক প্রভাত দাস  বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে বলেন স্কুল সরকারি নিয়ম বহির্ভূত  টাকা নেওয়ার  প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক প্রভাত বাবুকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করার কথা বলেন অন্যান্য  শিক্ষকদের সামনে। গত বছর এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে  ২৫ জনের মিড ডে মিল এর জায়গায় ৪২৫ জন ছাত্রছাত্রীকে খাওয়ানো হিসেব দিয়ে টাকা নয় ছয় করেছিলাম।
শুধু তাই নয় গত বছর এই ভর্তির সময় একইভাবে ৫০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নাবতেই শেষমেষ ২৪০ টাকা রেখে ২৬০ টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে দাবি করছেন সাবাজপুট গ্রামপঞ্চায়েতেরই পঞ্চায়েত প্রধান রাম গোবিন্দ দাস। তিনি আরো অভিযোগ করেন এই প্রধান শিক্ষক একের পর এক দুর্নীতি করে চলছেন।অথচ বিদ্যালয়ের উন্নয়ন নিয়ে কোন চিন্তা-ভাবনা করছেন না।
তিনি বলেন এই ঘটনা সরাসরি আমাকে জানিয়েছেন গ্রামবাসী এবং অভিভাবকের পক্ষ থেকে। তবে আমিও  বিষয়টি , স্থানীয় শিক্ষা দপ্তর, বিডিও, কাঁথি থানার আইসি কে বিষয়টি জানিয়েছি। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা শিক্ষক সোমনাথ রায় বলেন, এ রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার যা হাল তাতে এটা নতুন কিছু নয়।, তবে সরকারি নিয়ম না মেনে বাড়তি টাকা কোনভাবে নেওয়া উচিত হয়নি।, ওই প্রধান শিক্ষকের অস্বীকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জেলে বসে সব কথাই অস্বীকার করেছেন যার ঘর থেকে এত টাকা উদ্ধার হয় তিনিও একইভাবে অস্বীকার করবেন এটা স্বাভাবিক। সাবাজপুট সাম্বোধী শিক্ষাতীথ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নন্দিশ নিয়োগী বলেন আমরা সরকারি নিয়মের বিরুদ্ধে কোনো ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নি নি। তবে অভিভাবকদের  সম্মতিক্রমে স্কুলের অনুষ্ঠান হওয়ার জন্য এই টাকা নেওয়া হয়েছে। যদি কোন অভিভাবক  দিতে ইচ্ছুক না থাকে তবে আমরা জোর করে সরস্বতী পুজো বা অন্যান্য খরচ করতে পারিনা। তিনি স্বীকার করেন পরবর্তীকালে এই বাড়তি টাকা নেওয়া হবে না এবং যারা দিয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।তুমি আরো বলেন আমার বিরুদ্ধে একটি চক্রান্ত চলছে সেই কারণে এসব অভিযোগ উঠছে।
সহশিক্ষক কে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন পুরোপুরি অভিযোগ অসত্য উল্টে ওই শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম কুমন্তব্য করেছেন।

ekhansangbad
Author: ekhansangbad

Related News

Also Read