যমে মানুষে লড়াইতে ডাক্তারদের সকল প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে প্রয়াত হলেন কাঁথি পৌরসভার জনপ্রিয় কর্মী সুরজিৎ সিনহা (৫৯)। তার প্রাণে পৌরসভায় এক মিনিট প্রস্তাব গ্রহণ করে ছুটি ঘোষণা করা হয়। অসুস্থ হয়ে বেশ কিছুদিন ভর্তি ছিলেন কোলকাতার সিএমআরআই বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে তার মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপ এর মৃত্যু হয় (ব্রেনডেথ) রবিবার বিকাল পাঁচটা কুড়ি মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চিকিৎসাধীন অবস্থা। তিনি কাঁথি পৌরসভার বড়বাবুর দায়িত্ব এবং এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব সামলে ছিলেন বলে জানা গেছে। তার প্রাণের খবর পৌরসভায় আসার সঙ্গে সঙ্গে কর্মী কম শোকাহত হয়ে যায়।
রবিবার রাতেই তার মরদেহ কলকাতা থেকে কুমারপুরের বাসভবনে এসে পৌঁছায়। সোমবার সকালে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পৌরসভার প্রধান অফিসে এখানে শোক প্রকাশ করে পৌরসভার পৌর প্রধান সুপ্রকাশ গিরি, উপ পৌর প্রধান ডঃ নিরঞ্জন মান্না, কাউন্সিলর অতনু গিরি, রিনা দাস, শেখ সাবুল ও অন্যান্য কাউন্সিলর গনএবং কর্মী সংগঠনের সম্পাদক খোকন চক্রবর্তী, পৌর কর্মী প্রদীপ কুমার মান্না, সহ অন্যান্য কর্মীবৃন্দ তার মরদেহের পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে চির বিদায় জানানো হয়। পরে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় কাঁথি পৌরসভার সুপার মার্কেটের অফিসে। সেখানে কর্মীবৃন্দ পুষ্পার্ঘ দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মাধ্যমে চিরবিদায় জানানো হয়। এখানে সুপার মার্কেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন তাদের প্রিয় মিঠু দাকে পুষ্পার্ঘ দিয়ে বিদায় জানান।সেখান থেকে তার মরদেহ আঠিলাগড়ির পূর্বতন বাসভবনের নিয়ে আসা হয়। সেখানে আত্মীয় পরিজন ও পারিবারিক লোকজন তাঁকে বিদায় জানান।সবশেষে খড়্গচন্ডী মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান পাশাপাশি পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সোমবার হোক জ্ঞাপনের জন্য পুরসভার সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রেখে ছুটি ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুকালে রেখে গেছেন স্ত্রী, এক পুত্র, এক কন্যা অগণিত গুণমুগ্ধ মানুষজন। তিনি পৌরসভার বড়বাবু হয়ে একাধিক উন্নয়নে পরিকল্পনা করে পুরো প্রধানের মাধ্যমে শহরের উন্নয়ন করেছেন।