পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরীতে বামেদের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ উঠলো বিজেপির বিরুদ্ধে।গতকাল খেজুরির হেঁড়িয়াতে “হিন্দু খেতরেমে হ্যায়” আওয়াজ তুলে— খোল -করতাল সহযোগে সনাতনীদের পদযাত্রা ও সভার মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্ম রক্ষার ডাক দেন শুভেন্দু অধিকারী।অভিযোগ সেই কর্মসূচির পরে বিজেপির উৎসাহী সমর্থক ও নেতৃত্ব বাড়ি ফেরার পথে খেজুরির বিভিন্ন স্থানে লাগানো সিপিআইএমের লাল ঝান্ডা রাস্তায় ছিড়ে ফেলে দিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ নন্দীগ্রামের একটি গাড়ি খেজুরির উপর দিয়ে যায় এবং ফেরার পথে গাড়ির ছাদে বসে থেকে দুষ্কৃতিকারীরা এই কান্ড করে। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সারা খেজুরি জুড়ে সিপিআইএমের নেতাকর্মীরা পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।
জানা গেছে আগামী ৫ ও ১২ জানুয়ারি খেজুরি ১ ও খেজুরি ২ এরিয়া কমিটির সম্মেলন শুরু হচ্ছে । সেই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে লাল ঝান্ডা ফ্লাগ ফেস্টুন ও তোরনে সারা খেজুরী জুড়ে লাগানো হয়েছে।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির নেতা হিমাংশু দাস বলেন
স্বভাবত যিনি তৃণমূলের ঝান্ডা ধরে ২০০৯ সালে খেজুরি সহ সারা রাজ্যে কোথাও লাল ঝান্ডা তো দূরের কথা লাল ন্যাকড়া খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে হুমকি দিয়ে ঘোষনা করেছিলেন।
সেই হুমকিতে খেজুরির মানুষ ভয় পায়নি। হিমাংশু বাবু বলেন শুধু খেজুরিতেই সেই সময় ১৬ জন কমরেড শহীদ হয়েছেন।
১৯৭৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোট ২৫ জন শহীদ হয়েছেন। ঘরবাড়ি লুটপাট,ভাঙচুর, আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া, জরিমানা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, মিথ্যে মামলায় বহু মানুষের সর্বনাশ করেও খেজুরির মানুষকে দমাতে পারেনি। তাদের হাত থেকে লাল ঝান্ডা কেড়ে নিতে পারেনি।এর প্রতিবাদ জানিয়ে সিপিআইএম নেতা হিমাংশু দাস বলেন–
দুষ্কৃতীদের দিয়ে ফ্লাগ ফেস্টুন ছিড়ে মানুষের অধিকারের লড়াইয়ে সামনে থাকা বামপন্থীদের দমানোর চেষ্টা করছেন, তা কিন্তু সফল হতে দেবে না খেজুরির সংগ্রামী মানুষ।
মানুষকে ভুল বুঝিয়ে পঞ্চায়েত, বিধানসভা লোকসভায় ভোট নিয়েছে। সেই মানুষ ভুল বুঝতে পেরেছেন। এখন আমাদের কাছে ফিরছেন। তাই লালকে ওরা ভয় পেয়েছে।