সরকারি ধানের বস্তার মধ্যে বালি ভেজাল দিয়ে,সেই বস্তা বিক্রি করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়লো এক অসাধু ব্যবসায়ী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের চোরপালিয়ায়।
গত রাত্রে মা লক্ষী ধান গোলার মালিক সুকদেব জানা ও তাঁর সহযোগী পূর্ণ নন্দ ৫১ টি বস্তায় প্রায় ১০-১৫ কিলোগ্রাম করে বালির ভেজাল মিশিয়ে সেই ধান সরকার অনুমোদিত মিলের কাছে বিক্রি গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে যায়।
ঘটনার খবর জানাজানি হতেই এগরা ১ ব্লকের বিডিও দূর্গা প্রাসাদ ঘোষ ৫১টি ধানের বস্তা বাজেয়াপ্ত করে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে জমা করেন । তবে এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন? অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী। এগরা ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তাপস দে জানিয়েছেন, সারা রাজ্য জুড়ে এভাবেই দুর্নীতি হচ্ছে, শাসক দল তৃণমূলের ঘনিষ্ট কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই ধানগুলি এলাকার গরিব চাষীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ভেজাল মিশিয়ে সরকারি মান্ডি ও মিলারদের কাছে দিচ্ছে। গরিব চাষিরা সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে। অথচ ধরা পড়ার পরেও দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এই প্রসঙ্গে এগরার বিধায়ক তরুণ কুমার মাইতি জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ব্লক প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিন্তু ন্যায্য মূল্যে চাষীদের কাছ থেকে ধান কিনছে। কিন্তু কোন ব্যবসায়ীর সেখানে ধান বিক্রি করার কথা নয়। কেবলমাত্র চাষীরাই সেখানে ধান বিক্রি করতে পারেন। সেখানে যদি কোন অসাধু ব্যবসায়ী ধানের মধ্যে বালি মিশিয়ে দেয় তাহলে কোন অসৎ উদ্দেশ্যেই সরকারকে ঠকানো এবং রাইস মিলকে ঠকানোর উদ্দেশ্যেই এটা করেছেন। আমি তার নিন্দা জানাই।