হলদিয়া মহকুমা আদালতে নজিরবিহীন রায় ঘোষণা হল। সূত্রে জানা যায় ২০০৭ সালে ভবানীপুর থানার চকদ্বীপা গ্রামের দুলাল মাজীর কন্যা লক্ষী দাস ( মাজী)র সঙ্গে হলদিয়া থানার সাউতানচক গ্রামের বিশ্বজিৎ দাসের বিবাহ হয়েছিল। ওদের দুটি পুত্র সন্তান বর্তমানে । বিয়ের ৪-৫ বছর পর থেকে বিশ্বজিৎ প্রায়ই নেশাকরে বাড়িতে এসে লক্ষীকে অপবাদ দিয়ে মারধর করত ইং ১৭ ই মে ২০০৯ তারিখ বেলা ১০টার সময় বিশ্বজিৎ দাস এর সঙ্গে লক্ষী দাসের মধ্যে প্রচন্ড ঝগড়া হয়েছি। ঐদিন দুপুর ২টা নাগাদ বিশ্বজিৎ দাস লক্ষীকে তাদের বাড়ির মধ্যে কাটারী দিয়ে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। বিশ্বজিৎ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবেশিরা ধরে ফেলে। সেই থেকে বিশ্বজিৎ কারাগারে আছে। ঐদিন ঘটনার বিষয়ে লক্ষ্মী দাসের দাদা ভুতুনাথ মাজী হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। হলদিয়া থানার পুলিশ তদন্ত আরম্ভ করেন | পুলিশ ঘটনার স্থল থেকে রক্তমাখা কাটারী, লক্ষীদাসের চারখানা দাঁত এবং রক্তমাখা মাটি সীজ করেন।হলদিয়া থানার তদন্তকারী অফিসার ইং ১৮ ই আগস্ট বিশ্বজিৎ এর বিরুদ্ধে ডাঃ দঃ বিঃ আইনের ৩০২ ধারা অনুযায়ী Charge sheet দেয়। ইং ১লা ২০ ফেব্রুয়ারী বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। Haldia PS Case No 43/2019 dt. 17/05/19, Sessions Case No 150/19, ST Case No 01(02)2020.
এই মামলায় মোট ১২ জনের স্বাক্ষ গ্রহন করা হয়েছে ১৪ ই জানুয়ারি তারিখ (Ld Additional District & Sessions Judge, Haldia) হলদিয়া আদালতের মাননীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অঞ্জন কুমার সরকার বিশ্বজিৎ কে ভাঃ দঃ বিঃ আইনের ৩০২ ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং আজ ১৫ ই জানুয়ারি সাজা ঘোষণা হয় সরকার পক্ষের আইনজীবী সোমনাথ ভূঞ্যা মাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে জানালেন বিশ্বজিত ২০১৯ সাল থেকে, জেল হেফাজতে রয়েছে । বিশ্বজিতের জাবৎজীবন সশ্রম কারাদণ্ড( ২০ বছর ) এবং ১০০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস অতিরিক্ত কারাবাস ।