তমলুক মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ সোয়াদিঘী খাল সংস্কারের কাজে অবশেষে হাত দিল সেচ দপ্তর। কাজ শুরু হয়েছে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কাখর্দা এলাকার সোয়াদিঘীর লকগেট সম্মুখস্থ স্থান থেকে। ৫০০ মিটার ছাড়া খালের ভেতরে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দিয়ে কাজ শুরু হবে। আপাতত একটি মেশিন কাজ শুরু করলেও শীঘ্রই আরো মেশিনের সংখ্যা বাড়িয়ে কাজে গতি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে খালের ভেতরে থাকা বনসৃজনের গাছ এখনো না কাটায়। গত অক্টোবর মাস থেকে খাল খননের চর্চা শুরু হলেও এখনো বনসৃজন দপ্তর খালের ভেতরে থাকা গাছগুলি কাটার অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ। ফলস্বরূপ ধীর গতিতে খাল খননের কাজ চলবে-যতক্ষণ না দপ্তর গাছ কাটার অনুমতি দিচ্ছে বা গাছগুলি কেটে নেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের নুতন নিয়ম অনুযায়ী সোয়াদিঘী খালটি খনিজ দপ্তরের অধীনস্থ ডব্লিউ.বি.এম.ডি.টি.সি.এল.কর্তৃপক্ষ ঠিকাদার নিয়োগ করে কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছে। তবে খাল খনন হবে সেচ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে। এ কাজে সম্পূর্নরূপে সহযোগিতা করার কথা সাধারণ প্রশাসনের থাকলেও এখনো পর্যন্ত বনদপ্তর থেকে গাছ কাটার অনুমতি আদায় করতে পারেনি ব্লক প্রশাসন।
সোয়াদিঘী খাল সংস্কার সমিতির উপদেষ্টা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ও সোয়াদিঘী খাল সংস্কার সমিতির সম্পাদক মধুসূদন বেরা বলেন,বর্ষার চার মাস পর অবশেষে সোয়াদিঘী খাল সংস্কারের কাজ আজ শুরু হলেও শীঘ্রই জেলা প্রশাসন উদ্দোগী হয়ে বনদপ্তর কর্তৃক গাছ কাটার অনুমতি আদায় না করতে পারলে সংস্কারের কাজে গতি আসবে না। আগামী বর্ষা আসতে আর মাত্র চার মাস বাকি।
আমরা চাই-গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ভিত্তিক সুষ্ঠুভাবে সেচ দপ্তরের সিডিউল অনুসারে কাজটি রূপায়ণ করতে তদারকি কমিটি গঠন করা হোক। এবং কাজের পূর্বে সেচ ও বি এল এন্ড এল আর ও দপ্তরের আমিনকে দিয়ে খালের জমি চিহ্নিতকরণ করা হোক।