মংলামাড়ো ঐক্যতান ক্লাবের আয়োজনে গণবিবাহের আসরে বাংলা এবং উড়িষ্যার মেলবন্ধন। বিয়ের আয়োজনে সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল প্রস্তুতি। বেলা গ়ড়াতেই আলো ঝলমলে সাজানো মণ্ডপে একে একে হাজির পাত্র-পাত্রী, আত্মীয়-পরিজন। ছিলেন পুরোহিতও। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মংলামাড়োতে মেলা প্রাঙ্গণে একসঙ্গে মঞ্চে বসলেন ৩ জোড়া পাত্র-পাত্রী। নবদম্পতিদের দেওয়া হয়েছে বহু উপহার সামগ্রী। বৃহস্পতিবার গণবিবাহের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন মংলামাড়ো ঐক্যতান ক্লাব। আয়োজকদের দাবি, জেলায় এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় গণবিবাহ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বরাও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুপ্রকাশ গিরি, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তরুণ জানা, জেলা পরিষদের সদস্য শেখ আনোয়ারউদ্দীন, আয়োজক সংস্থার চেয়ারপার্সন শেখ আব্দুল আহাদ আলি, সভাপতি অভিজিৎ পড়িয়া ও সম্পাদক মুত্তিরঞ্জন বেরা প্রমুখ। গত ২৪ বছর ধরেই মংলামাড়োতে গণবিবাহের আয়োজন করছেন ঐক্যতান ক্লাব। আয়োজক সংস্থার চেয়ারপার্সন শেখ আব্দুল আহাদ আলি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানে ৩ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন। প্রত্যেকেই হিন্দু শাস্ত্রমতে বিয়ে সেরেছেন। গণবিবাহ হলেও আয়োজকেরা জাঁকজমকে খামতি রাখেননি। বিয়ের খরচ বহন করা ছাড়াও দম্পতিদের দেওয়া হয় সোনার আংটি ও নাকছাবি। রঙিন টেলিভিশন সেট, বিছানা, সাইকেল, সেলাই মেশিন-সহ দানসামগ্রী। সঙ্গে বিমার পলিসি।
চাল-আলু-আটা থেকে এক মাসের মতো রেশন। এ ছাড়াও পাত্র-পাত্রী, দু’পক্ষের ৫০ জন আত্মীয়ের এবং সাতশো মানুষজনদের ভূরিভোজের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
এই গণ বিবাহের আসরে পাত্র-পাত্রীদের দুই পরিবার এর লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ঐকতান ক্লাব গণবিবাহের মাধ্যমে ঐক্যের বন্ধনে চার হাত এক করে দিল।

