হবু শাশুড়ির জিমখানা:-অঙ্কিতা ঘোষ
– এই যে মেয়ে, শোনো শোনো।
– হ্যাঁ! বলুন।
– তুমি পাশের ফ্ল্যাটের পিয়ালী না?!
– হ্যাঁ।
– তোমায় রোজ যেতে আসতে দেখি। ভাবলাম একটু আলাপ করি। তা বলছি তুমি তো বেশ স্বাস্থ্যবান মানে মোটাই আছো!
– ইয়ে মানে ঐ আরকি!
– ডায়েট করছ না?!
– ইয়ে মানে ঐ আরকি!
– আজকাল তো রোগা হওয়াটাই ট্রেন্ড। এই আমাকেই দেখ। এই বয়েসেও কেমন স্লিম বলো?! অ্যাঁ?!
– হেহেহেহেহে!
– আমার একটা জিম আছে জানো তো?! এই… বাঁদিকের গলিটায়।
– কনগ্রেচুলেশনস্!
– শোনো মেয়ে, তোমার ভালোর জন্যই বলছি। আজকালকার ছেলেরা রোগা বৌ চায়। কেউ বিয়ে করবে না রোগা না হলে।
– ইয়ে কাকিমা…
– তুমি আমার পাশের ফ্ল্যাটে থাকো, নিজের মনে করি তাই বললাম। আমার জিমে আসো, রোগা হয়ে যাবে দুদিনে।
– আচ্ছা। আচ্ছা। এখন আসি!
– আরে শোনো, শোনো। আমার জিমে ভর্তি হও, তোমার পঁচাত্তর কেজি ওয়েট আমি কমিয়ে পঞ্চাশে আনবই। তখন দেখবে লাইন লেগে যাবে ছেলেদের। বাড়িতে খালি বিয়ের সম্বন্ধ আসবে আর যাবে!
– ওমা! তাই?!
– তাই নয় তো কি! তোমার নামটা লিখে নেই তাহলে আমার জিমের খাতায়। কাল থেকেই এসো। আর পাঁচহাজার টাকা অ্যাডভান্স। হিহিহিহিহি। লিখি নামটা?!
– হিহিহিহিহি। আমার তো খুব ইচ্ছে ছিল আপনার জিমে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু আপনার ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে আর হতে পারলাম না।
– আমার ছেলে?
– আপনার ছেলেকে কত করে বলছি একটু রোগা হই, হবু শাশুড়িমের জিমে ভর্তি হই। আপনার ছেলে শোনেই না। তার নাকি আমার রসগোল্লার মতো গালদুটো গুলুগুলু না করলে মনে শান্তিই হয় না। কি বলি বলুন তো হবু শাশুড়িমা?!
– ইয়ে মানে…
– আপনার ছেলে আবার জেদ ধরেছে আপনার জিমের সামনের বারান্দায় বিরিয়ানির দোকান দেবে। চেষ্টা করে দেখি, যদি আটকাতে পারি। হবু শাশুড়িমার জিমখানার প্রফিটটাও তো সেই আমাকেই দেখতে হবে। তাই না?!
– অ্যাঁ?! হ্যাঁ …হ্যাঁ!
– এখন আসি হবু শাশুড়িমা? আপনার ছেলে আজ আমার জন্য এই…ডানদিকের মোড়ের সামনে দুটো এগ্ মাটন রোল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আসি?
– হুম। হুম। এসো।
সৌজন্যে – প্রতিলিপি