পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর এবং রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রম নেত্রালয়-এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় আজ সন্ধ্যায় গেঁওখালির হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ‘ত্রিবেনী সঙ্গম’ সম্মেলন কক্ষে “রেটিনোপ্যাথি অফ প্রিম্যাচুরিটি” সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা প্রকল্পের শুভ সূচনা করা হয়েছে। যদি প্রজ্জালনের মাধ্যমে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ বিভাস রায়। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রতীশ পাল, রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রম নেত্রালয়ের সম্পাদক স্বামী বিবেকাত্মানন্দজী মহারাজ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, প্রিম্যাচিওর্ড ডেলিভারি অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই নবজাত শিশুর জন্মের ওজন যদি দু’কেজির কম হয়, অথবা শিশু যদি ৩৪ সপ্তাহের আগেই ভূমিষ্ঠ হয়ে থাকে, কিংবা জন্মের পরেই যদি শিশুকে এন আই সি ইউ অথবা পি আই সি ইউ অক্সিজেন ঘরে রাখা হয়ে থাকে, তাহলে দেরি না করে ২৭ দিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে ওই নবজাত শিশুকে অবশ্যই ভিট্রো রেটিনা সার্জেন নতুবা মেডিক্যাল রেটিনা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা খুবই জরুরি। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ বিভাস রায় এই রোগ সম্পর্কে বিশদে তুলে ধরেন এবং তার চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন।

