নবম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শনিবার সমাপ্ত হলো। কাঁথি শহরে শ্রী অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ২১টি ওয়ার্ডের মানুষদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য শিবির খোলা হয়। শনিবার শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি পৌরসভার উপ পৌর প্রধান ও প্রধান শিক্ষক ডঃ নিরঞ্জন মান্না, কাউন্সিলর রীনা দাস, পম্পা জানা মাইতি, শঙ্করলাল দাস সহ অন্যান্য কাউন্সিলর গণ।
উপ পৌর প্রধান বলেন, ২৪ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সরকারি পরিসেবা ও মানবিক প্রকল্প গুলি নিয়ে নবম পর্যায়ের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হল। প্রকল্প গুলিতে বহু পৌরবাসী আবেদন করেছেন। খুব শীঘ্রই অর্থাৎ ২৮ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই পরিষেবা গুলো রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। এই শিবিরের দায়িত্ব থাকা পৌর কর্মী প্রদীপ কুমার মান্না পরিচালনা করেন।
প্রদীপবাবু বলেন ৩৭ ধরনের পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। তারমধ্যে ভাতা প্রকল্প, লক্ষী ভান্ডার, এবং খাদ্য সাথীকে মানুষ বেশি করে আবেদন জানিয়েছেন।
শনিবার কাঁথি ১ ব্লকের মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি মূল শিবি ও ১৮ টি শিবিরের মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছেন বিডিও অমিতাভ বিশ্বাস। পঞ্চায়েত প্রধান প্রদীপ কুমার কুণ্ডু মূল শিবির বিরামপুরের বিপর্যয় মোকাবেলা সেন্টারে তদারকি করেন যাতে কোন মানুষের অসুবিধা না হয়।
কাঁথি ৩ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত কুসুমপুর পঞ্চায়েতের বহিত্রকুন্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম দুয়ারে সরকার হল। এই শিবির থেকে , ৩৭টি প্রকল্পের পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হল। শিবির পরিদর্শন করলেন কাঁথি ৩ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ চন্দ্র বেজ, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিমল চন্দ্র শাসমল,কাঁথি ৩ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও প্রসেনজিৎ নন্দী, কুসুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পারুল রানী বর, কুসুমপুর উপ প্রধান মান্তু জানা সহ অন্যান্যরা।

