কাঁথি থানা অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার করে ৭ জন প্রকৃত মালিকের হাতে বাইক তুলে দিয়ে বড়সড় সাফল্য অর্জন করল। মেলা, বাজার ও বিভিন্ন জায়গায় থেকে হারিয়ে যাওয়া সাতজনের হাতে বাইক তুলে দিল কাঁথি থানার পুলিশ। বুধবার কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস ও কাঁথি থানার আইসি প্রদীপ কুমার দান সাংবাদিক বৈঠক করে ৭ জন বাইক প্রাপকের হাতে তুলে দেন। বাইক পেয়ে কার্যত খুশি ব্যক্তিরা। উল্লেখ্য, শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চুরি হচ্ছিল একের পর এক বাইক। মেলা থেকে শুরু করে বাজার থেকে ও চুরি যাওয়ার পর বাইক কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে কাঁথি থানার পুলিশ। গত ২৪ সালে ৪ ই অক্টোকর বাইক চুরি চক্রের তদন্তে নেমে হুগলি খানাকুলের বাসিন্দা সৈকত সামন্ত’কে গ্রেফতার করে। রামনগরের ঠিকরামোড়ে বাইকের গ্যারেজ রয়েছে। তারপরে সহযোগী মান্দারমণি’র কালিন্দী বাসিন্দা প্রসেনজিৎ জানা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে।
তারপরে চুরি চক্রের পর্দাফাঁস করে পুলিশ। তদন্তে নেমে দফায় দফায় বাইক চুরি চক্রের দুই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া প্রায় ১৫ টি বাইক উদ্ধার করে। প্রথমে ১০টি এবং পরে ৫ টি বাইক উদ্ধার করে। কাঁথি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস জানিয়েছেন অভিযান চালিয়ে বাইক চুরি চক্রের মাথা এবং চক্রের পান্ডাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাইক উদ্ধারের পর চুরি যাওয়া বাইকের মালিকরা আদালতে বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে বাইক নেওয়ার জন্য অনুমতি পায় পাশাপাশি কাঁথি থানাকে প্রকৃত মালিকের হাতে বাইক যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন বিচারক। সেই নির্দেশ অনুযায়ী শনিবার প্রকৃত বাইকের মালিকের হাতে বাইক তুলে দেওয়া হয়। বাইক পাওয়ার পরে বাইকের মালিকগণ কাঁথি থানার উছ্বসিত প্রশংসা করেন।

