ভুয়ো অর্থলগ্নী সংস্থা সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন বারবার অভিযোগ করছেন শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারী তাঁকে ব্ল্যাক মেলিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে।সেই অভিযোগকে ঘিরে এমনিতেই রাজ্য রাজনীতি উত্তাল।এর মধ্যেই এলো আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে কাঁথি পৌরসভা অফিসে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা সারদার বহুতল বিল্ডিং এর অনুমতি প্রদানের ফাইল !
লক্ষ লক্ষ মানুষকে যেই প্রজেক্টকে দেখিয়ে প্রতারনা করলো ভুয়ো অর্থলগ্নী সংস্থা সারদা,সেই বহুতল বিল্ডিং নির্মানের জন্যে অনুমতি প্রদানের ফাইল হাওয়া কাঁথি পৌরসভা থেকে।মঞ্জুর রহমান খান নামে এক আইনজীবির আরটিআই ধারায় করা প্রশ্নের উত্তরে এই কথা জানিয়েছেন কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্না ।
সৌম্যেন্দু অধিকারী । শিশির অধিকারীর ছোট ছেলে।গত ২০০৯ সালে শুভেন্দু অধিকারী মানে বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দল নেতা তমলুকের সাংসদ হওয়ার পরে কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান হন তাঁর ছোট ভাই সৌম্যেন্দু ।সেই তাঁর আমলেই গত ২০১১সালের ২৯ মে কাঁথি পৌরসভার ২০ নং ওয়ার্ডের ধর্মদাসবাড়ে কাঁথি-দিঘা ১১৬বি জাতীয় সড়কের ধারে সারদা ভুয়ো অর্থ লগ্নী সংস্থাকে বহুতল বিল্ডিং করার অনুমতি প্রদান করেছিলো। সেই ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা কাঁথি পৌরসভায়। ফলে কি শর্তে অনুমুতি প্রদান হয়েছিলো,কত টাকা নেওয়া হয়েছিলো ইত্যাদি প্রশ্ন গুলির উত্তর পাওয়া মুস্কিল।
কাঁথি আদালতের আইনজীবি মঞ্জুর রহমান খান গত ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর আরটিআই আইনে সারদার বিল্ডিং নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন চেয়ারম্যানের কাছে ।দীরতঘ টালবাহানার পরে সেই প্রশ্নের উত্তরে কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্না জানিয়েছেন সারদা চীট ফান্ড সংস্থার বিল্ডিং অনুমোদন সংক্রান্ত কোন ফাইল নেই তাঁদের কাছে।
স্বাভাবিক ভাবে ঘটনাটা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
তৃনমূল অভিযোগ করছে সৌম্যেন্দু অধিকারীরা জানতো যেকোন দিন এই ফাইল নিয়ে টানা হেঁচড়া হতে পারে ।তাই আগে থেকেই এই ফাইল সরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।তৃনমূলের আরো অভিযোগ অবিলম্বে সৌম্যেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করুক পুলিশ ।যদিও এই বিষয়ে অধিকারীদের থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি