খেজুরী বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বানে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে, আগামী ২১ শে জুলাই ধর্মতলা চলো কর্মসূচী সফল করতে ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন তদন্ত এজেন্সির রাজনৈতিক ব্যবহার সহ খেজুরীর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণ ত্বরান্বিত করতে বাঁশগোড়া বাজার সংলগ্ন মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হল । সভায় সভাপতিত্ব করেন খেজুরী বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসের কো অর্ডিনেটার তথা জেলা স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ডাঃ পার্থ প্রতিম দাস।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য স্বরোজগার কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান তন্ময় ঘোষ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বিধায়ক তরুণ মাইতি, বিধায়ক উত্তম বারিক, প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন, খেজুরী-১ ও ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি যথাক্রমে বিমান নায়ক এবং দেবাশীষ দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ বলেন খেজুরীর মাটি স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক আন্দোলনের পীঠস্থান। ভারতের প্রথম টেলিফোন অফিস ও কলকাতার আগে সমুদ্র বন্দর স্থাপিত হয়েছিল। রাজা রামমোহন রায়ের ইউরোপ যাত্রা খেজুরী বন্দর থেকেই হয়েছিল। সংবিধান পরিষদের সদস্য তথা কাঁথির সাংসদ বসন্ত কুমার দাস,রাজ্যের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী নিকুঞ্জ মাইতি ও আভা মাইতি প্রমুখের জন্মস্থান এই খেজুরী। হিজলীর মসনদ-ই-আলা সহ বহু প্রাচীন মন্দিরে সমৃদ্ধ এই খেজুরীর ভূমি। অথচ বিজেপি এই মাটিতে রাজনৈতিক ও কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি র সন্ত্রাস অব্যাহত।রসুলপুর নদীর উপর কেন্দ্রীয় সরকার ব্রিজ নির্মাণ নির্মাণের পরিবর্তে ধর্মীয় মেরুকরণের তাস খেলতে ব্যস্ত।জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির ক্ষমতায় আসীন করাই আমাদের অঙ্গীকার।
জেলা সভাপতি তরুণ মাইতি ধর্মতলা চলো কর্মসূচী সফল করার আবেদন জানান। বিধায়ক উত্তম বারিক খেজুরীতে বিজেপির সন্ত্রাস প্রতিরোধে সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, রান্নার গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া। জনগণের দুর্দশার সীমাপরিসীমা নেই বলে অভিমত প্রকাশ করেন মামুদ হোসেন।