টক দই খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী একথা কম-বেশী সকলেরই জানা। ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদির মতো নানা উপকারী উপাদান রয়েছে এই টক দই-এ। পুষ্টিবিদদের মতে প্রতিদিন এক বাটি টক দই খেলে নানা শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দুপুরে খাবার খাওয়ার পরে এক বাটি টক দই খেলে তা শরীরের নানা উপকার হয়ে থাকে। পাশাপাশি দুধের মতোই পুষ্টিগুণ থাকায় দুধের বিকল্প হিসেবেও দারুণ এক সমাধান এবং অন্তত উপকারী একটি খাদ্য হলো এই দই। তবে মনে রাখতে হবে , খুব বেশি যেন খাওয়া হয়ে না যায়। দিনে 300 থেকে 500 গ্রামের বেশি টক দই খাওয়া উচিত নয় ।প্রয়োজনের চেয়ে বেশি দই খেলে তা শরীরে অত্যাধিক ক্যালসিয়াম সৃষ্টির কারণ হতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জটিলতা বাড়াতে পারে। মিষ্টি দই-এর থেকে টক দই খাওয়া বেশি উপকারী। জেনে নিন খাবার খাওয়ার পরে এক বাটি টক দই খেলে কোন উপকারগুলি পাওয়া যাবে-
বদহজম দূর করে খাবার একটু এদিক ওদিক হলে বদ হজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে টক দই। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমে সহায়তা করে এবং বদহজম প্রতিরোধ করে। নিয়মিত এক বাটি টক দই খেলে ২২ শতাংশ ওজন কমার সম্ভাবনা থাকে।
ফ্যাট কমায়
টক দই-এ ফ্যাট থাকে অনেক কম। সেই জন্যই টক দই ওজন কমাতে সাহায্য করে। টক দই রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
টক দইয়ের ল্যাকটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। টক দই হজমশক্তিও উন্নত করতে পারে । দই খেলে মানসিক চাপ এবং অ্যাংজাইটি কমতে থাকে। যদি টক দই নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
ওজন কমায়
ওজন কমানোর জন্য নানা প্রচেষ্টা করে থাকে অনেকেই। টক দই-এ ফ্যাট অনেকটাই কম থাকে। টক দইয়ের সঙ্গে ফল খাওয়ার অভ্যাস করলে ক্ষুধা বোধ কম হয়।
উচ্চ রক্তচাপ দূরে রাখে
উচ্চ রক্তচাপ দূরে রাখতে সাহায্য করে টক দই । প্রতিদিন টক দই খাওয়ার অভ্যাস করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। টক দই-এ থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে দেয়।
দেখলেন তো, দুপুরে খাবার পরে এক বাটি টক দই খেলে কতটা উপকার পাওয়া যায়।তাই এখন থেকে দুপুরের খাবারের পরে এক বাটি টক দই খাওয়ার অভ্যাস করুন। সুস্থতার পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন।।