সিপিএম ও বিজেপি জোট বদ্ধ হয়ে তৃনমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেও মুখ থুবড়ে পড়তে হল।জয়ী হলেন তৃনমূলের গ্রাম প্রধান।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক পঞ্চায়েত সমিতির বিষ্ণুবাড় ২ নম্বর অঞ্চলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে বিরোধীরা।এই পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ১১।
জানা গেছে গত ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিষ্ণুবাড় অঞ্চলের মোট ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ৬ জন এবং সিপিএম পঞ্চায়েত দখল করে ৫জন সদর। ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে বিষ্ণুবাড় অঞ্চলের উপপ্রধানিক অনিমেষ প্রামানিক ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে নাম লেখায়। এবার ওই অঞ্চলেরই তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় প্রতীকে জেতা অনিমেষ প্রামাণিক নেতৃত্বে সিপিএম পাঁচজন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনেন প্রধানের কৃষ্ণা মাইতির বিরুদ্ধে। শুক্রবার অনাস্থা প্রস্তাবের সভায় সিপিএমের টিকিটে জয়ী জয়দেব মন্ডল নামে এক পঞ্চায়েত সদস্য গরহাজির ছিলেন।ফলে আনাস্থা ভোটাভুটিতে যেতে চায়নি প্রস্তাবকেরা।
তৃনমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী অনিমেষ প্রামানিক এই হার স্বীকার করতে পারেন নি ।তাঁর অভিযোগ শাসক দল ধমকে ও অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে জয়দেব মন্ডলকে এই সভায় আসতে নিষেধ করে ।
যদিও রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন ঘাষফুলের টিকিটে জয়ী হয়ে বিজেপির দলদাস অনিমেষ প্রামানিকের মুখে এইসব কথা মানায় না ।সেই সাথে তিনি বপেন বৃহস্পতিবার সিপিএমের সদস্য জয়দেব মন্ডল তার পুরানো দল ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।সেজন্যই অনাস্থা প্রস্তাবে সহমত প্রকাশ করেননি।
এদিনের অনাস্থা প্রস্তাবের সভাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছিলো।এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে পঞ্চায়েত অফিসে প্রচুর পুলিশ মোতায়ন করা হয় ।যদিও কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি