রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।তার মধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন গ্রেফতার হয়নি সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করলো তৃনমূল।কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন ফের সংবাদ মাধ্যম দিয়ে এই প্রশ্ন করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ইডির আধিকারিকদের।
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন বলেন ২০১১ সালে রাজ্যে তৃনমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর অবধি কাঁথি থেকে কোচবিহার সর্বত্র দুর্নীতি করে বেড়িয়েছে শুভেন্দু অধিকারী।তৃনমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্ধ স্নেহের সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন ধরে শুভেন্দু অধিকারী ও তার পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতি চালিয়ে গেছে।আর এখন জেল যাত্রা আটকাতে অমিত শাহের পা ধরে বিজেপিতে গিয়ে মিথ্যাচার করছে।
প্রদীপ বাবুর অভিযোগ ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সাল অবধি প্রাথমিক শিক্ষক থেকে ব্যাঙ্ক কর্মী নিয়োগে বেকার যুবক যুবতীদের থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়েছে।সিবিআই কিংবা ইডির নিয়োগে দুর্নীতির জন্যে যদি কাউকে গ্রেফতার করতে হয় তবে শুভেন্দুকেই গ্রেফতার করা উচিৎ।বলেন শুভেন্দুর দুর্নীতি জানার জন্যে গোয়েন্দা হওয়ার প্রয়োজন নেই,কাঁথি কিংবা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যেকোন প্রান্তে যে কোন মানুষের কাছে জানতে চাইলেই তাঁরা গড়গড় করে বলে যাবে।সেই সাথে অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদীদের তাঁর পরামর্শ নিজেদের সৎ-স্বচ্ছ প্রমান করতে হলে আগে নারদা – সারদা কান্ডের আসামী দুর্নীতির মাস্টার মাইন্ড শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করে দেখাক।