কিছুদিন কানাঘুষ আলোচনা হলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে কাঁথির প্রবীন তৃনমূল সাংসদ শিশির অধিকারীর রাজ্যপাল হওয়ার জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছিলো।শারিরীক অসুস্থ্যতার মধ্যে দিল্লী উড়ে গিয়ে শিশির বাবুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ গ্রহন এবং তার রেশ কাটতে না কাটতেই শুভেন্দু অধিকারীর বাবার সাংসদ পদ খারিজের জন্যে আবেদনের লোকসভা স্পিকারের শুনানির তারিখ ঘোষনায় ফের নতুন করে জল্পনা বাড়ালো।
পঞ্চায়েত সদস্য থেকে কাঁথির পৌর প্রধান,বিধায়ক থেকে কেন্দ্রের মন্ত্রী দেশের প্রায় সব স্তরের নির্বাচিত সাংবিধানিক পদ ছুঁয়ে ফেলেছেন শিশির অধিকারী।কাঁথির এই প্রবীন রাজনীতিবিদের নাম জড়িয়ে গত কয়েক মাস ধরে রাজ্যপাল হওয়ার জল্পনা ঘুরে বেড়াচ্ছে।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে শিশির-পুত্র শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। তার পর থেকেই কাঁথির অধিকারী বাড়ির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূলের। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে শিশিরও অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপির মঞ্চে উঠেছিলেন। বিধানসভা ভোটে শুভেন্দুকে জয়ী করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন শিশির। বিধানসভা ভোটের পর, দলত্যাগ বিরোধী আইনে শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দেন সুদীপ।যদিও সেই আবেদনের পর শুনানিতে স্পিকার ওম বিড়লা টালবাহানা করছেন বলে তৃনমূল বহুবার অভিযোগ করেছে।
তৃণমূলের তরফে তাদের লোকসভার দলনেতা সুদীপকে আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) উপস্থিত থাকতে বলেছেন স্পিকার। তৃণমূল সংসদীয় দল সূত্রে খবর, সুদীপ ওই বৈঠকে যোগ দেবেন।
এই প্রক্রিয়ার মধ্যেই জল্পনা বাড়লো শিশির অধিকারীকে ঘিরে।রাজনৈতিক মহল বলছে শিশির বাবুর সাংসদ পদ খারিজ হলে কাঁথি লোকসভা আসনে উপ নির্বাচন হবে ।সেক্ষেত্রে নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী পরাজিত হলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক কেরিয়ারে আঘাত লাগবে। সেই সম্ভাবনার কথা জেনেও শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে লোকসভার স্পিকার শুনানির উদ্যোগ গ্রহন করায় বিজেপির কোন পরিকল্পনা আছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শিশির অধিকারীকে রাজ্যপাল করার ভাবনা আছে কিনা সেটাই দেখার