রাতের অন্ধকারে চলছিলো পুকুর ভরাট।ঘটনাটা জানতে পেরেই ব্যাবস্থা নিলেন মহিষাদল ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক চন্দ্রানী ভট্টাচার্য।
জানা গেছে মহিষাদল সিনেমা মোড়ের হলদিয়াগামী বাস রাস্তার যাত্রীবিশ্রামাগারের পেছনে একটি পুকুরকে বে আইনী ভাবে ভরাট করা হচ্ছিলো।খবর পেয়েই শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহিষাদল ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক চন্দ্রানী ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন সরকারি সার্ভেয়ার(আমিন ) চঞ্চল মাইতি সহ অন্যান্য অফিসারগণ ।
পুকুরটির আয়তন প্রায় ৪৫ ডেসিমলের বেশি রয়েছে।স্থানীয়দের থেকে ঘটনাটা জানতে পেরে গড়কমলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রদীপ কুমার জানা মহিষাদল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।তিনি জানান ,রাতের অন্ধকারে সবার অলক্ষে এই কাজটি করত পুকুরের মালিক শ্যামল দাস সহ অন্যান্য শরিকরা।জানা গেছে পুকুরটি তিনজন অংশীদার তিন ভাই শ্যামল দাস, বিমল কুমার দাস ও অমল কুমার দাস।
জেলার মৎস্য আধিকারিক সুরেন্দ্রনাথ জানা জানিয়েছেন, জলাভূমি বা পুকুর কে ভরাট করা যাবে না। এতে মৎস্যপ্রাণীজগতের প্রচুর ক্ষতি হবে। কোন ব্যক্তি নিজের খেয়াল মত জলাভূমিকে বাস্তুতে পরিবর্তন করতে পারে না।
এই প্রসঙ্গে মহিষাদল রাজ কলেজের জীববিদ্যা বিভাগের হেড ড: শুভময় দাস বলেন, হঠাৎ কোন জলাভূমিকে বাস্তুতে পরিবর্তন করলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক চন্দ্রানী ভট্টাচার্য জানান অভিযোগের সত্যতা রয়েছে । পুকুরটির আয়তন প্রায় ৪৫ ডেসিমলের বেশি রয়েছে। যাহার দাগ নং ৮৭০, জে.এল নং ১১২ ।শ্যামল দাসকে তিন দিনের সময় দিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক।পুকুরটি পূর্বে যে অবস্থায় ছিল ,সেই অবস্থায় ফিরে দেবার জন্য। যদি না করেন তাহলে শ্যামল দাসের বিরুদ্ধে আইনগত দিক থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক।