ইন্দ্রজিৎ আইচ :-সম্প্রতি অঙ্গন বেলঘড়িয়া র নিজস্ব মহলা কক্ষে মঞ্চস্থ হলো একটি সাহসী ও ব্যতিক্রমী নাটক যা বর্তমান সময়ের জীবন্ত দলিল বলা যেতে পারে। নাটকটির নাম “রিভাসাইরাস ব্রেনো চুসেলস”।
ধর্মান্ধতা, জ্বালানি সহ বিভিন্ন জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি, দলবদল,পুঁজিপতিদের আগ্রাসন,ক্ষমতা দখলের জন্য খুন ,অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে মারা প্রায় সব কিছুই নাটকটিতে বলার চেষ্টা করা হয়েছে। রিভাসাইরাস ব্রেনোচুসেলস একটি ভ্যাক্সিন যেটা প্রয়োগের ফলে মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হয় এবং সত্যি কথা গুলো বলে ফেলে সহজেই।
নাট্যকার এই ভ্যাক্সিন কে এখানে প্রতীক হিসাবে ব্যাবহার করেছেন। নাট্যকার আসলে যেটা বলতে চেষ্টা করেছেন বা বলেছেন সেটা হল মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় ঘটিয়ে সত্যটাকে খুঁজে বার করে ওই সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করতে হবে। ছোটো পরিসরে সবটা তুলে ধরতে গিয়ে নাটকটিতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা রয়ে গিয়েছে। তবে নাটকটি অভি সেনগুপ্তের নিখুঁত পরিচালনা ও প্রত্যেকের অভিনয় দক্ষতার গুনে দর্শকের কাছে গ্রহন যোগ্য হয়েছে।
নাটক টি লিখেছেন শান্তনু মজুমদার । অভি সেনগুপ্তর নির্দেশনায় ও অঙ্গন বেলঘরিয়ার প্রযোজনায় এই নাটক টি সকলের নজর কারবে। বিভিন্ন চরিত্রে রূপ দান করেছেন ঘোষক / হাতপকেট/ হৃদিবিনাশ : (গুঞ্জন গাঙ্গুলি),কোরাস / মারকাটারি / আমদানি : (হৃদয় সাহা), কোরাস / টিভি সাংবাদিক : (শিল্পা দে), কোরাস / বিজ্ঞানি সপ্ন নীল / (রজত নন্দী), বরেন মামা (সুব্রত সরকার), কোরাস / সাংবাদিক / আমদানির স্ত্রী : (তিথি বিশ্বাস), কোরাস / বকরম বাগীশ : (সুদীপা সাহা), কোরাস / গলাবাজি / টোটো চালক / মুসলিম প্রতিনিধি : (সুরজিৎ শর্মা),।মাথাক্ষেপা তলাপাত্র / কৃষক প্রতিনিধি / হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি : (তপন বিশ্বাস)
সকলেই ভালো অভিনয় করেছেন।অভি সেনগুপ্ত নির্দেশনায় এই নাটক সমাজ কে নতুন বার্তা দেয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার।